চাকসুর সহ দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাতের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল সাকিফ রহমান, চাকসুর সহ দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাতের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নিয়ে মিথ্যাচারের কৈফিয়ত চাইলে, চাকসুর এই সহ দপ্তর সম্পাদক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঐ শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল সাকিফ রহমান চাকসুর সহ দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাত কর্তৃক মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানহানির অভিযোগ করে বলেন,
আরও পড়ুন: অনার্সের রেজাল্টের আগেই বিসিএস ক্যাডার হলেন ঢাবি ছাত্রী
ঘটনাটির সূত্রপাত নিম্নরূপ—সাম্প্রতিককালে (১১/১১/২০২৫) আমি একটি পোস্টে অভিযুক্ত জান্নাতুল আদন নুসরাতের (শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগ, ২১-২২ সেশন) করা মিথ্যাচার ধরিয়ে দিয়ে তাকে মেনশন করে একটি পাল্টা পোস্ট করি। এর উত্তরে অভিযুক্ত নুসরাত আমার সেই পোস্টের মন্তব্য বাক্সে লেখেন, “উনার আমাকে হ্যারাসার ছাড়া কিছু মনে হচ্ছে না।”
এছাড়া তিনি প্রমাণ ছাড়াই মন্তব্য করেন যে, আমি তাকে পূর্বে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি, যার কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ঢাবির পাঁচ ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
পরবর্তীতে, জান্নাতুল আদন তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে শাটলে সংঘটিত একজন নারীকে ‘ব্যাড টাচ’ করার ঘটনার সাথে আমার সম্পৃক্ততা আছে বলে প্রশ্ন উত্থাপন করে একটি পোস্ট করেন, যা সুস্পষ্টভাবে মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আমি স্পষ্ট জানাতে চাই, উল্লেখিত কোনো ঘটনার সাথেই আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। যেহেতু তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাকে ‘হ্যারাসার’ এবং ‘ব্যাড টাচ’ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছেন, তাই অভিযোগের প্রমাণ দেওয়ার দায়ভার সম্পূর্ণরূপে তার। কিন্তু তিনি কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। তার এই ভিত্তিহীন অভিযোগের ফলে আমার মানহানি হয়েছে, আমি সহপাঠী ও সমাজের চোখে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি এবং আমার সামাজিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “রাজনীতিতে মতভিন্নতা থাকবে। তিনি চাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধি। তিনি যদি সামান্য মতের ভিন্নতাকে সম্মান করতে না পেরে একজনকে হ্যারাসার ডাকেন, শাটলে ব্যাড টাচের ঘটনায় আমাকে ইচ্ছাপ্রণোদিতভাবে ব্লেম দেন—যেখানে আমি শাটলে নিয়মিত যাতায়াতই করি না—তাহলে তার সহনশীলতা ও ভিন্নমতকে সম্মানের জায়গাটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আমি তাকে বলেছি, ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর প্রমাণ দিন এবং কেউ কাউকে মেনশন করে পোস্ট করার জন্য হ্যারাসার বলতে পারেন না। আমরা চাকসুর প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আরও গঠনমূলক ও সহনশীল আচরণ আশা করি।”
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড. পারভিন আক্তার বলেন, “সাকিফ আজকে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। আগামীকাল আমরা প্রক্টরিয়াল বডিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব।”
এ বিষয়ে চাকসুর সহ দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাতের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।





