কলারোয়ায় বেড়েছে কুলের চাষ
সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলায় এবার ব্যাপকভাবে কুলের চাষ করা হয়েছে। ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ সুস্বাদু এই কুল বা বরই উপজেলার সবখানেই চাষ করা হয়। বিশেষ করে হেলাতলা ইউনিয়নের দমদমা, চেড়াঘাট, গণপতিপুর, দামোদরকাটি এলাকায় মাঠ জুড়ে কেবল চোখে পড়ে কুলগাছের সবুজ বনভূমি।
এছাড়া সিংগা ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক কুল চাষ করা হয়ে থাকে। সরজমিনে গণপতিপুর গ্রামের কুলবাগানে যেয়ে দেখা যায়, কুল গাছগুলোতে তারার মতো ফুটে আছে ফুল। তাতে অল্প অল্প ফল ধরেছে। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবার উপজেলায় কুল চাষ করা হয়েছে ৪৭৩ হেক্টর জমিতে। যা গত মৌসুমের চেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ'লীগ নেতার বোনের বাড়িতে ২৩ তাজা ককটেল উদ্ধার, ভাগ্নিজামাই আটক
গণপতিপুর গ্রামের সফল কুলচাষী মশিয়ার রহমান তিনি জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে কুলের চাষাবাদ করে আসছেন। এবার তিনি ২৩ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছেন। তাঁর কুলের বাগানে তিনি পাঁচ জাতের কুল চাষ করেছেন। এগুলো হলো: থাই আপেল, বল সুন্দরী, সাদা টক কুল, খাড়া টক কুল ও টক কমলা কুল। তিনি বলেন, নামে টক হলেও এগুলো টক-মিষ্টি কুল।
মশিয়ার রহমান আরও জানান, এই পাঁচ জাতের কুলের মধ্যে থাই আপেল কুলের চাহিদা বেশি। সফল এই কুলচাষী জানালেন, কুল চাষ করতে হলে নিবিড় পরিচর্যা ও একাগ্রতা প্রয়োজন। এবার কুলের ফলনে তিনি আশাবাদী। প্রতিবারই তিনি কুল চাষ করে লাভবান হন।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলে অনিশ্চয়তা, হতাশ পর্যটকরা!
এবারও লাভবান হওয়ার আশা তিনি ব্যক্ত করেন। কলারোয়ার হেলাতলা ও কেরালকাতা ইউনিয়ন ছাড়াও সোনাবাড়িয়া ও চন্দনপুর ইউনিয়নেও কুলচাষ বেশ জনপ্রিয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম এনামুল ইসলাম জানান, এবার ৪৭৩ হেক্টর জমিতে এবার কুল চাষ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে কুলচাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও কীটনাশক দমনের বিষয়ে করণীয় প্রসঙ্গে তাদের উদ্বুদ্ধ করে থাকে নিয়মিতভাবে। কৃষিবিদ এনামুল ইসলাম আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, এবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকার কুল বেচাবিক্রি হতে পারে।





