মিরপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, পরিস্থিতি থমথমে

বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১:০৯ অপরাহ্ন, ০২ নভেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ৯:৩১ পূর্বাহ্ন, ০২ নভেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কয়েকদিন ধরে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজধানী, সাভার ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার  মিরপুরে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। মিরপুর-১০ নম্বরে আন্দোলনরত পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

এরপর পূরবী সিনেমা হলের সামনেও শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এখানেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এক পর্যায়ে পিছু হটতে থাকেন শ্রমিকরা।

রাজধানী, সাভার ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনকালে কিছু জায়গায় ভাঙচুর এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে।

আরও পড়ুন: আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার কিছু কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে কিছু কারখানায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও আন্দোলন চলছে।

এর ধারাবাহিকতায় সকাল ৮টার দিকে পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ করেন পোশাকশ্রমিকরা। সেখান থেকে তারা প্রথমে একটি মিছিল নিয়ে মিরপুর-১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের দিকে যান। সেখান থেকে আগের জায়গায় ফিরে এসে সকাল সাড়ে ৯টার পর একটি মিছিল নিয়ে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরের দিকে যান।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের টিম দায়িত্বরত আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

পোশাক শ্রমিকরা জানান, গত মঙ্গলবার সকালে ঘটনার সূত্রপাত হয় পল্লবীতে ইপিলিয়ন নিটওয়্যারস লিমিটেডের একটি কারখানার কর্মীদের আটকে রাখা কেন্দ্র করে। অন্য কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে ইপিলিয়নের কর্মীরা যুক্ত হতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকে তাঁদের বের হতে দেওয়া হচ্ছিল না।

কারখানাটির আশপাশের এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনুসারীরা শ্রমিকদের ভয় দেখাচ্ছিলেন। এ নিয়ে ইপিলিয়নের কর্মীদের সঙ্গে তাদের প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জেরে পোশাককর্মীদের ওপর তারা হামলা করেন।

এদিকে পোশাক কারখানায় অপ্রীতিকর অবস্থা প্রতিরোধে আজ থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।