সাতক্ষীরা তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফাকে জড়িয়ে অপপ্রচার, স্থানীয়দের ক্ষোভ

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ গোলাম মোস্তফা কে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ব্যর্থতায় একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, মোস্তফা চেয়ারম্যানের ‘ইন্ধনে’ কুমিরা শ্মশানের খাল দখলের চেষ্টা চলছে। তবে এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন: পুলিশের পৃথক অভিযানে পুলিশের ভেস্ট, চাকু ও মাদক উদ্ধার, গ্রেফতার ১৭
এ বিষয়ে শেখ গোলাম মোস্তফা বলেন, "এই শ্মশান প্রতিষ্ঠায় আমার পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আমার বাবা আতিয়ার রহমান ও আমি, দুজনেই কুমিরা ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটে বহুবার নির্বাচিত হয়েছি। আমার নামে কোনো ডিসিআর (ডেপুটি কমিশনারের রেকর্ড) জমি নেই, শ্মশানের জমি সংক্রান্ত কোনো বিষয়েও আমি অবগত নই।"
মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, "মোস্তফা চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে যে খাল দখলের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া। আমরা কখনো দেখিনি তিনি বা তাঁর পরিবার কারও ক্ষতি করেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সবসময় আন্তরিক।"
আরও পড়ুন: আমার সাথে কথা বলতে কারো অনুমতি লাগে না: রেজবুল কবির
স্থানীয় শ্রমিকদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম জানান, "আমার জানা মতে মোস্তফা চেয়ারম্যানের নামে কোনো ডিসিআর নেই। হয়তো কামাল হোসেনের পিতার নামে ওই জমি রয়েছে। কামাল মাঝে মাঝে ওই জায়গায় যাতায়াত করে।"
কুমিরা এলাকার কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি বলেন, "মোস্তফা চেয়ারম্যান আমাদের সবার প্রিয় মানুষ। তাঁর ও তাঁর পিতার সময় আমরা বিপুল ভোটে তাঁকে নির্বাচিত করেছি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশিত খাল দখলের খবরটি মিথ্যা ও দুঃখজনক।"
পাটকেলঘাটা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আল আমিন হোসেন বলেন, "আমি সরেজমিনে গিয়েছিলাম, স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে আলাপ আলোচনা করেছি। সকলে বলেন, আমরা গোলাম মোস্তফাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না, কারণ মোস্তফা চেয়ারম্যানের নামে তো কোনো ডিসিআর নেই। আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।"
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিপা সরকার বলেন, "জমির কাগজপত্র যাচাই করে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত আইন অনুযায়ী নেওয়া হবে।"