আমাদের ওসমান হাদি: জাতির জন্য নেতা

Any Akter
এম এ মতিন
প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:৩৫ পূর্বাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রত্যেক জাতির জীবনে এমন এক মুহূর্ত আসে যখন সমাজ এক মৌলিক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়: আমরা প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের নেতৃত্ব চাই? শুধুমাত্র ক্ষমতা, পদ বা নির্বাচনী জয়ের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব, নাকি সেবা, দৃষ্টি, নৈতিক সাহস এবং জনগণের প্রতি অটল প্রতিশ্রুতির দ্বারা পরিচালিত নেতৃত্ব? ইতিহাস আমাদের শেখায়, যে জাতি শুধুমাত্র শাসক পেলে উন্নতি করে না; যে জাতি সত্যিকারের নেতা পায়, সে উন্নতি করে। এই প্রেক্ষাপটে ওসমান হাদি উদ্ভাসিত হন—এক নেতা যিনি কেবল জাতির নেতা নন, তিনি স্পষ্টভাবে জাতির জন্য নেতা।

একজন “জাতির নেতা” পদ বা আইন থেকে ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। কিন্তু একজন “জাতির জন্য নেতা” দায়িত্ব, আত্মত্যাগ এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে। এমন নেতৃত্ব চায় সহানুভূতি, নৈতিক দৃঢ়তা, বুদ্ধিমত্তা এবং জাতীয় স্বার্থকে ব্যক্তিগত স্বার্থের ওপরে রাখার সাহস। ওসমান হাদির জীবন ও কর্মকাণ্ড এই উচ্চ মানের নেতৃত্বের প্রতিফলন।

আরও পড়ুন: বছর ঘুরলেই বাড়ি ভাড়া বাড়ার আতঙ্কে ভাড়াটিয়ারা

সাধারণ পটভূমি থেকে জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গিঃ-

দূরবর্তী বরিশালের ঝালকাঠির নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হিসেবে জন্ম নেওয়া ওসমান হাদির প্রতিকূল শৈশব জীবন তাকে শিখিয়েছে কি কি সমস্যা সমূহ বা কারা কারা দেশের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করা হয় এবং কীভাবে তা সমাধান করা যায়। এই বোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে নৈতিক রাজনীতি, সামাজিক দায়িত্ব এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের প্রতি নিবদ্ধ করে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী-তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি জ্বলে ওঠে। তিনি শুধু অংশগ্রহণকারী নন, বরং আশা ও পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হন। তাঁর চিন্তাধারা পরবর্তীতে দেশের কোটি যুবকের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক চেতনাকে জন্ম দেয়।

পদ নয়, দায়িত্বভিত্তিক নেতৃত্বঃ-

অত‍্যন্ত তরুন নেতা শরীফ ওসমান হাদি সত্যিকারের গনমানুষের স্নেহ ধন্য , আস্থার প্রতীক, সত্য প্রকাশ কারার সাহস, সদাচরণ, সততা, আন্তরিকতা, আদর্শ, মূল্যবোধ, ন্যায়, নিষ্ঠার অধিকারী অবিচল নেতৃত্বের প্রতীক! তার প্রতি গনমানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সম্মান, আবেগ,আস্থা তাকে অসৎ , মিথ্যা, স্বার্থপর, সন্ত্রাসী রাজনীতিকদের চক্ষুশূলে পরিণত করেছে! 

প্রকৃত নেতৃত্ব আজ্ঞা পালনের মাধ্যমে আসে না, এটি আস্থা অর্জনের মাধ্যমে আসে। আধুনিক রাজনীতি প্রায়ই নেতৃত্বকে ক্ষমতার লড়াইতে পরিণত করে—কেউ প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে, কেউ বাগাড়ম্বরিক কাহিনী সৃষ্টি করে, কেউ বিরোধীদের চুপ করায়। কিন্তু বাস্তব নেতৃত্ব স্থায়ী প্রভাব ফেলে।

ওসমান হাদির আদশ’  ছিল সংরক্ষণ ও দায়িত্বের ওপর জোর দেয়া! তিনি জাতিকে মানুষের জীবন্ত সমষ্টি হিসেবে দেখেতেন , নেতৃত্ব একটি দায়িত্ব, সুবিধা নয়। তিনি প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে ও ভাগাভাগি দায়িত্বের কথা বলেন, ব্যক্তিগত ঐতিহ্যের চেয়ে জাতির স্থায়িত্বকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলতেন ! 

ওসমান হাদির দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী উন্নয়ন পরিসংখ্যান বা অবকাঠামোর দ্বারা মাপা যায় না; এটি মানুষকে সম্মান, সুযোগ এবং নিরাপত্তা দেয় কিনা তা মাপার বিষয়। শিক্ষা নৈতিক দায়িত্ব, স্বাস্থ্যসেবা মৌলিক অধিকার, কর্মসংস্থান সামাজিক মর্যাদা।

তিনি টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন ,অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সামাজিক ন্যায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। কোনো একটি স্তম্ভ উপেক্ষা করলে জাতি দুর্বল হয়।

নৈতিকতা হলো নেতৃত্বের ভিত্তিঃ-

দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার জনবিশ্বাস ক্ষয় করেছে। ওসমান হাদি নেতৃত্বের কেন্দ্রে নৈতিকতাকে উধ্ব’ স্হানে স্থাপন করেন। তিনি বলতেন যে, নৈতিক শাসন ঐচ্ছিক নয়; এটি সকল কার্যকর নীতি বাস্তবায়নের ভিত্তি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে তিনি সকলের জন্য আইন সমান প্রয়োগের সংকল্প দেখান।

ক্ষমতাসমূহের সামনে সত্য বলাঃ-

সত্যিকারের নেতা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়। ওসমান হাদি ক্ষমতার সামনে সত্য বলেন, যদিও তা ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক ঝুঁকি বহন করে। তিনি জানেন, অন্যায়ের মুখে নীরব থাকা নিরপেক্ষতা নয়; এটি সহযোগিতা। তাঁর সাহস নৈতিক এবং সংস্কারমুখী।

বিভাজনের চেয়ে ঐক্যঃ-

বিভাজন জাতিকে দুর্বল করে। ওসমান হাদি ‘ঐক্যবদ্ধ কিন্তু একরূপ নয়’ নীতি প্রচলন করেন। তিনি বৈচিত্র্যকে শক্তি হিসেবে দেখেন। ঘৃণা ও বর্জনের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে তিনি সংলাপ, সংবিধানিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সম্মানের সংস্কৃতি গড়ে তোলেন! 

যুব, ভবিষ্যৎ এবং দায়িত্বঃ-

কোনো জাতি যুবকের ক্ষমতায়ন ছাড়া উন্নতি করতে পারে না। ওসমান হাদি যুবকদের কেবল সুবিধাভোগী নয়, বরং দেশের ভবিষ্যতের সক্রিয় নির্মাতা হিসেবে বিশ্বাস করেন। শিক্ষা, উদ্ভাবন, নৈতিক সচেতনতা ও চাকরির সুযোগের মাধ্যমে তিনি যুবকের শক্তিকে কাজে লাগাতে সচেষ্ট ছিলেন! এবং ইহা তাঁর অন‍্য একটি স্লোগান ছিল! 

নিজের কষ্টের শৈশব থেকে উদ্ভূত এই অভিজ্ঞতা কোটি যুবকের মধ্যে আশা ও কর্মসংগঠনের প্রেরণা জাগায়।

সঙ্কটকালে নেতৃত্বঃ-

সত্যিকারের নেতৃত্ব আরামদায়ক সময়ে নয়, সঙ্কটের সময়ে পরীক্ষা হয়। শরীফ ওসমান হাদি প্রতিষ্ঠান, সম্প্রদায় এবং মূল্যবোধের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মনোনিবেশ করেন। কঠোর নীতি সঙ্গে সহানুভূতি, প্রস্তুতি, সামাজিক সুরক্ষা এবং তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্তের ওপর জোর দেন।

তিনি নিপীড়নের মুখেও অটল ছিলেন। বুলেট তাঁর কণ্ঠ চেপে রাখতে পারলেও, তিনি কোটি যুবকের হৃদয়ে জ্বালানো আগুনকে নিভাতে পারেননি।কারণ ইতিমধ্যেই নিজেকে একটি রাজনৈতিক জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন! 

সততা, নৈতিকতা এবং নীতিমূলক সাহস ওসমান হাদির নেতৃত্বের ভিত্তি। তিনি সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক স্তরে সম্মান ও ভালবাসা অর্জন করেছেন। তার প্রজ্ঞা, নৈতিক দৃঢ়তা এবং মানসিক সংযোগ তাঁকে সময়ের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ঈর্ষা ও প্রতিকূলতা মোকাবেলাঃ-

যখন সততা অসৎ রাজনৈতিক দূরবিত্যায়ন মূলক স্বার্থকে হুমকি দেয়, প্রতিকূলতা আসে। ওসমান হাদি সেই হুমকি মোকাবেলা করেছেন। ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন ও বুলেটও তাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে কিন্তু তাঁর নেতৃত্বকে নিভাতে পারবে না। তিনি কোটি মানুষের হৃদয়ে জীবন্ত, নৈতিক ও প্রেরণাদায়ক নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন ! এবং তাঁর মহৎ রাজনৈতিক অনুপ্রেরনা এই দেশের লক্ষ লক্ষ তরুন হাদীর জন্ম দিবে এবং যাদের নেতৃত্বে হাদীর আদশি'ক বাংলাদেশ গডে উঠবে ! 

ইতিহাস সত্যের পক্ষ নেওয়া মানুষকে উদারতা দেয়। জাতীয় নায়করা প্রতিরোধ, আত্মত্যাগ এবং সাহসের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। ওসমান হাদির যাত্রা এই সত্যকে প্রমাণ করে। তিনি শুধু প্রশংসিত নন; তিনি বিশ্বাসযোগ্য, অনুসরণযোগ্য এবং রাজনৈতিক নৈতিক দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করছেন।

তিনি সময়ের নেতা—এবং ইতিহাসের নেতা।