জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলীসহ সকল ধর্ষকের বিচারের দাবিতে নবাবগঞ্জে বিক্ষোভ

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ন, ০৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১:২৪ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ধর্ষক জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলীসহ সকল ধর্ষণের বিচারের দাবিতে দোহার-নবাবগঞ্জ নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজ বিকেল চারটায় নবাবগঞ্জ কোর্ট বিল্ডিং থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দোহার ও নবাবগঞ্জের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। তারা ধর্ষক জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলীসহ বিগত এক বছরে দোহার ও নবাবগঞ্জে যত ধর্ষণ হয়েছে, সকল ধর্ষকের বিচার দাবি করেন।

উল্লেখ্য, নবাবগঞ্জের আইডিয়াল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল আটক

এর আগে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় যৌন হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মোসাম্মৎ শিল্পী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তর এলাকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মোসাম্মৎ শিল্পী জামায়াত নেতা নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, “আমি অসহায় একজন মানুষ, প্যারাগন হাসপাতালে সামান্য একটি চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছি। আমার মেয়ে নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলী আমার মেয়েকে তার অফিস রুমে ডেকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য আমার মেয়েকে ছুরি দিয়ে হত্যার ভয় দেখায়। ভয়ে আমার মেয়ে কাউকে কিছু বলে না। হঠাৎ গত ৩০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) মাদ্রাসা থেকে ফোন আসে আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। এরপর আমি মাদ্রাসায় যাওয়ার পর জানতে পারি এক সপ্তাহ আগে আমার মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা। বর্তমানে আমার মেয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছুক্ষণ পর পর অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। আমি এবং আমার পরিবার বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।”

আরও পড়ুন: বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কসের প্রধান খায়রুল বাশার বাহারের ৪২ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক

শিল্পী বলেন, “একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নৈতিকতা ও শালীনতার প্রতীক হওয়ার কথা। কিন্তু তার কাছ থেকে এ ধরনের জঘন্য আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ঘটনা শুধু আমার মেয়ের মানসিক ও সামাজিক জীবনে আঘাত করেনি, বরং গোটা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “মাদ্রাসার এ প্রিন্সিপাল জামায়াতের নেতা বলে পরিচয় দেয় এবং তার ক্ষমতার দাপটে ভয়ভীতি দেখান আমাদের।”

এ সময় তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, “দ্রুত অভিযুক্ত মাদ্রাসার প্রিন্সিপালকে পদচ্যুত করতে হবে এবং ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করে অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে আমার মেয়ের নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।”