চবিতে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী পরিবারের উদ্যোগে সেমিনার

Sanchoy Biswas
মো. সাবিত বিন নাছিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ৭:১১ অপরাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:৩৬ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির জাতীয়তাবাদী পরিবারের উদ্যোগে সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে ‘৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ এবং ‘৭ই নভেম্বর থেকে ৫ই আগস্ট: অভ্যূত্থানের প্রতিচ্ছবি’ শীর্ষক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। উক্ত সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি হল পরিদর্শন করেছেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা

রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স অডিটোরিয়ামে জাতীয়তাবাদী পরিবার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এই আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমীন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাহেদুর রহমান চৌধুরী এবং জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অন্যান্য সদস্য। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শাখা ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, দৈনিক দিনকালের চবি প্রতিনিধি আল ইয়ামিম আফ্রিদি এবং একাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন তার বক্তব্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, “১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের তৎকালীন সকল রাজনীতিবিদ তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, শুধুমাত্র দেশপ্রেমের কারণে পাকিস্তান আর্মিতে কর্মরত একজন মেজর নিজ উদ্যোগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুধু ঘোষণা দিয়েই বসে থাকেননি; সম্মুখসমরে অংশগ্রহণ করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে দেশকে স্বাধীন করেন। দেশকে স্বাধীন করে তিনি ক্ষমতা না নিয়ে আবার কর্মক্ষেত্রে ফেরত যান। আবারও যখন ১৯৭৫ সালে চরম দুঃশাসন, অপশাসন ও চরম সংকটের মধ্য দিয়ে দেশ যাচ্ছিল, তখন বাংলাদেশের সিপাহি-জনতা সেই মহানায়কের কথা স্মরণ করেছে, যার হাতে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণ নিরাপদ—তিনি হলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।”

আরও পড়ুন: দাবি আদায়ে শিক্ষকদের আল্টিমেটাম: আজ থেকে লাগাতার কর্মবিরতি

অনুষ্ঠানে বক্তব্য ও প্রবন্ধ পাঠ শেষে চবির ছাত্রদলের বিজয়ী প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।