ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করবেন মেঘনা আলম
ঢাকা-৮ আসনকে বাংলাদেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে এসেছেন মেঘনা আলম। তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বহুবার “দেশকে সিঙ্গাপুর বানানো হবে”—এমন প্রতিশ্রুতি শোনা গেলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। একটি দেশ বা এলাকা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে প্রয়োজন বৈশ্বিক চিন্তাধারাসম্পন্ন, শিক্ষিত ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব। সেই বাস্তব উদাহরণ হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরছেন মেঘনা আলম।
নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা-৮ এলাকায় আধুনিক ও কার্যকর বিশেষ সিসিটিভি ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। এর মাধ্যমে পথ চলাচলের সময় কোনো নারী যেন স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার না হন—সে লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আবারও ছবি প্রকাশ করে তুমুল আলোচনায় স্বস্তিকা মুখার্জি
এছাড়া এলাকায় একটি বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে মানুষ নিরাপদে হেঁটে চলাচল ও সাইকেল ব্যবহার করতে পারেন।
জনস্বার্থে স্বল্প ব্যয়ে পাবলিক ওয়াশরুম স্থাপন করা হবে, যেখানে গোসল, ব্রেস্টফিডিং, শিশুর ডায়াপার পরিবর্তনের সুবিধা থাকবে। পাশাপাশি চালু করা হবে কমিউনিটি লন্ড্রি সিস্টেম, যাতে বস্তিবাসী থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারী ও পার্কে হাঁটতে আসা মানুষ পরিচ্ছন্ন থাকার সুযোগ পান।
আরও পড়ুন: নতুন গান নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে নেহা কক্কর
নারীদের ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে নারীদের জন্য আলাদা মসজিদ নির্মাণ এবং বিদ্যমান মসজিদে পৃথক নামাজের জায়গা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একই সঙ্গে রমজান মাসে সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে ইফতারের আয়োজনের মাধ্যমে সামাজিক ভ্রাতৃত্ববোধ জোরদারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
নারীদের কর্মজীবন ও মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় ও পাবলিক-প্রাইভেট অর্থায়নে ডে-কেয়ার সিস্টেম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে নারীরা সন্তান লালন-পালনের পাশাপাশি নিজের সময় বের করে পড়াশোনা, দক্ষতা উন্নয়ন কিংবা আয়মূলক কাজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে প্রতি মাসে অন্তত একবার বিনামূল্যে ডেন্টাল চেকআপ এবং স্বল্পমূল্যে দাঁতের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে দাঁতের অবহেলার কারণে স্ট্রোক, ব্রেইন ড্যামেজ কিংবা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির মতো ঝুঁকি কমানো যায়।
আইন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি মাসে একবার বিনামূল্যে লিগ্যাল অ্যাসেসমেন্ট ওয়ার্কশপ আয়োজনের ঘোষণা দেন মেঘনা আলম। এতে সাধারণ মানুষ তাদের আইনি অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন এবং হয়রানি থেকে মুক্ত থাকার পথ খুঁজে পাবেন।
ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে যুবসমাজের জন্য প্রতি মাসে রাজনৈতিক শিক্ষা ও নেতৃত্ব বিকাশ কর্মশালা আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিটি সেবাকেন্দ্রে থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত অভিযোগ বাক্স। পাশাপাশি প্রতি তিন মাসে একবার এমপি নিজে উপস্থিত থেকে টাউন হল মিটিংয়ে অংশ নেবেন, যেখানে এলাকার শিল্পী, ব্যবসায়ী ও কৃতি সন্তানদের সঙ্গে স্বচ্ছ জবাবদিহি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও জরুরি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে।
মেঘনা আলম বলেন, সমাজে অপরাধপ্রবণতা ও সামাজিক অবক্ষয়ের মূল কারণ হলো পুষ্টির অভাব, পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি এবং আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা। তাই তিনি এমপি নির্বাচিত হলে ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টি, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সামাজিক ও আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন।





