রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার

গুমের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৩২ পূর্বাহ্ন, ২২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৫৪ অপরাহ্ন, ২২ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাদের ট্রাইব্যুনাল-১ এ নেওয়া হয়, যেখানে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে। অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আরও পড়ুন: নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে, হাইকোর্টের রায়

প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, মামলার দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুম ও নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত, অন্যটি ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আইজিপিকে (পুলিশ মহাপরিদর্শক) তা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পরোয়ানার কপি পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা : স্বামীসহ গৃহকর্মী রিমান্ডে

প্রসিকিউটর তামীম জানান, মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালকসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তি।

তারা হলেন: ১. লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন

২. মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন

৩. লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম

৪. লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী

৫. মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক

৬. মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম

৭. মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ

৯. লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক

এছাড়া মামলায় আরও নাম এসেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের।

প্রসিকিউটর তামীম বলেন, এখন আইন অনুযায়ী দুটি পথ খোলা — আসামিরা স্বেচ্ছায় ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পারেন, অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে উপস্থাপন করবে।

তিনি আরও জানান, ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আসামিরা জামিন আবেদন করতে পারবেন, যা আদালত প্রমাণ ও যুক্তির ভিত্তিতে বিবেচনা করবে। আর যদি আদালত জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন, তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে তারা কোন কারাগারে থাকবেন।