বর্তমান সরকারের আমলেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে: আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার পূর্ণ গতিতে এগিয়ে চলছে এবং বর্তমান সরকারের আমলেই বিচার সম্পন্ন হবে। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও বিভিন্ন ফৌজদারি আদালতে দায়ের করা মামলাগুলোর তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ এলাকায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত এই স্মৃতিস্তম্ভটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে নির্মিত প্রথম সরকারি স্থাপনা।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আসিফ নজরুল বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রমে কোনো ধরনের গাফিলতি হবে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার যেমন দ্রুত এগিয়ে চলছে, তেমনি অন্যান্য আদালতেও অগ্রগতি হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার আমাকে জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে দায়ের করা মামলাগুলোর চার্জশিট আগামী ৫ আগস্টের আগেই দেওয়া সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “চার্জশিট দাখিলের পর প্রয়োজনে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।”
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নিবার্চন: সিইসি
গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, “গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশে যে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম হয়েছিল, তা বাংলাদেশবাসী মাত্র ১৫ দিনের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করতে সক্ষম হয়েছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রসঙ্গে ড. আসিফ নজরুল বলেন, “নানারকম চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এসব মোকাবেলায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্থানীয়ভাবে যেসব লুটেরা ও চাঁদাবাজ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগের কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও সুধীজন।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টাবৃন্দ শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজখবর নেন ও সহমর্মিতা জানান।