বেবিচকের অসাধারণ সাফল্য

যুক্তরাজ্যের DfT মূল্যায়নে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর উচ্চ স্কোর অর্জন

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ন, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৫৬ অপরাহ্ন, ১২ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত


বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্ট (DfT, UK) কর্তৃক পরিচালিত বিমানবন্দর মূল্যায়নে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।

আরও পড়ুন: বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকা উচিত: ট্রাইব্যুনালের অভিমত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা (HSIA) সামগ্রিক মূল্যায়নে ৯৩% এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা (কার্গো) মূল্যায়নে ১০০% নম্বর অর্জন করেছে। একইভাবে, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট (OIA) সামগ্রিকভাবে ৯৪% এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা (কার্গো) মূল্যায়নে ১০০% নম্বর পেয়েছে। DfT মূল্যায়ন দল বেবিচক-এর প্রস্তুতি ও কার্যক্রমে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

DfT Airport Assessment হলো যুক্তরাজ্য সরকারের একটি আনুষ্ঠানিক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মূল্যায়ন ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে বিদেশি বিমানবন্দরসমূহে যাত্রী ও কার্গো নিরাপত্তা মানদণ্ড যাচাই করা হয়। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমানবন্দর মূল্যায়ন কার্যক্রম ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয়। পরবর্তীতে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো যাচাইয়ের জন্য DfT পরিদর্শক দল নিয়মিতভাবে মূল্যায়ন অব্যাহত রাখে।

আরও পড়ুন: রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ডিএফটি থেকে প্রাপ্ত এই ভালো ফলাফল বাংলাদেশের বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার দৃঢ়তা ও সক্ষমতার প্রমাণ। এটি আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও এয়ারলাইন্সগুলোকে আশ্বস্ত করে যে, যাত্রী ও কার্গো ব্যবস্থাপনা নিরাপদ ও মানসম্মত।

২০১৬ সালে কার্গো স্ক্রিনিং নিয়ে উদ্বেগের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য ঢাকাগামী কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পরে বেবিচক ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের বিধিনিষেধের সঙ্গে সামঞ্জস্য সৃষ্টি করে। ২০১৭ সাল থেকে Explosive Detection System (EDS) ও Explosive Detection Dog (EDD) ইউনিটকে রপ্তানি কার্গো স্ক্রিনিং ব্যবস্থায় যুক্ত করা হয়েছে।

এই মূল্যায়ন ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি কমাবে এবং বিদেশি এয়ারলাইন ও হ্যান্ডলার অংশীদারিত্বকে আরও আকর্ষণীয় করবে। বেবিচকের দূরদর্শী নেতৃত্ব, বিমান নিরাপত্তা বিভাগের দৃঢ় নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং উভয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যকর নিরাপত্তা বাস্তবায়নের ফলাফল এই সাফল্যের মূল ভিত্তি।

বেবিচকের লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশ কেবল বর্তমান অর্জন বজায় রাখবে না, বরং বৈশ্বিক বিমান নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান অর্জন করে বিশ্বের অন্যতম উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।