তারেক রহমান দেশে ফিরছেন
অবশেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। তার দেশে ফিরতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ও ট্রাভেলিং-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। ১ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার স্থায়ী কমিটি বৈঠক শেষে গুলশান চেয়ারপারসন অফিস থেকে বের হয়ে গেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন—বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন।
মমতাময়ী মায়ের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের শেষ মুহূর্তে পাশে থাকতে একমাত্র সন্তান তারেক রহমান হঠাৎ করেই বাংলাদেশে ফিরছেন। সরকার ও পরিবারের বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, দেশে ফিরতে ইতোমধ্যে পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত কর্মচারীদের টিকিট কেনা হয়েছে। হঠাৎ করেই বহুল কাঙ্ক্ষিত-প্রত্যাশিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে পরবর্তীকালীন সরকার ও দলের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার যেকোনো সময়ে তিনি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে অবরুদ্ধ অর্থ উপদেষ্টা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় (সিসিইউ) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন আছেন। তার রোগমুক্তির জন্য দেশজুড়ে দোয়া চলছে। প্রধান উপদেষ্টাও তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সর্বাত্মক চিকিৎসা-সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তারেক রহমানের দেশের ফেরার বিষয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যে কোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত। রাজনৈতিক বাস্তবতার এই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়া মাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতিক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।’





