‘নতুন রাষ্ট্র কাঠামোয় তরুণ প্রজন্মের ভাবনা ও প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে’

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ন, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চব্বিশোত্তর বাংলাদেশে মেধা ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নতুন রাষ্ট্র কাঠামোয় তরুণ প্রজন্মের ভাবনা ও প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন, পরিবর্তনই চব্বিশোত্তর বাংলাদেশের মূল শিক্ষা। জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনমুখী ও প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়ন ছাড়া ভবিষ্যত সম্ভাবনা সৃষ্টি সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘চব্বিশোত্তর বাংলাদেশে তারুণ্যের ভাবনায় শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও গবেষণাধর্মী শিক্ষা বিকাশের কেন্দ্র। খাতভিত্তিক গবেষণা, কর্মমুখী কারিকুলাম এবং সময়োপযোগী শিক্ষা সংস্কার না হলে গ্লোবাল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে।

আরও পড়ুন: ঢাকা-১১ নাহিদ ও ঢাকা-১৮ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রার্থী ঘোষণা

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হলে কর্মসংস্থানের পথ বিস্তৃত করতে হবে। শুধুমাত্র সরকারের ওপর নির্ভর না করে তরুণদের আত্মনির্ভরশীল উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে।”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি ছিল দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ। কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে মানসিক সংস্কার সবচেয়ে জরুরি, নইলে কাঠামোগত সংস্কারও স্থায়ী হবে না।

আরও পড়ুন: ১২৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল এনসিপি

তিনি জানান, জুলাই সনদকে আইনি কাঠামো দিয়ে গণভোটের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং এতে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে। “অন্তর্বর্তী সরকার চাইলে অধ্যাদেশ জারি করে এটিকে আইনগত ভিত্তি দিতে পারে,” যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। তিনি বলেন, বিগত কয়েক দশকের সার্টিফিকেটনির্ভর শিক্ষা বেকারত্ব বাড়িয়েছে; তাই শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও কর্মসংস্থানমুখী করা জরুরি।

সভাপতিত্ব করেন ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মান পুনরুদ্ধার করতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো ছাড়া বিকল্প নেই।

সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ভিসি, প্রোভিসি, গবেষক, শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী নেতারা অংশ নেন এবং শিক্ষা সংস্কার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।