কোটা বিরোধী আন্দোলনের ঢেউ যশোরে

কোটা বিরোধী আন্দোলন ‘বাংলা ব্লক’ এর ডাক সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। এবার সেই ঢেউ যশোরেও লেগেছে।
সোমবার দুপুর ১২ টায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর এম এম কলেজের শিক্ষার্থীসহ এ অঞ্চলের কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে এক যোগে যশোর পালবাড়ি থেকে যশোর প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন।।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে ১২৪ মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
শাহবাগে রোববার বিকেলে ‘বাংলা ব্লক’ সারাদেশ কর্মসূচির ডাক দেয় কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা ১২ টায় যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর এম এম কলেজসহ এই অঞ্চলের কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে যশোর পালবাড়ি মোড় থেকে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে বিক্ষোভ র্যালি ও মানববন্ধন করেন। এসময়ে কর্মসূচির স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নবী উল্লাহ নবীর সেল্টারে ডেমরায় বেপরোয়া জামান-সেলিম
আন্দোলন কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে ‘কোটা’ পদ্ধতি পুনর্বহালের প্ৰতিবাদে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল থেকে নানা ধরনের স্লোগান দেন।
এর আগে সাড়ে এগারটার মধ্যে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যশোর পালবাড়িতে জড়ো হয়ে‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে ও নানান ধরনের ফেস্টুনসংবলিত মিছিল নিয়ে। পরবর্তীতে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এসে কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘১৮ এর পরিপত্র, বহাল করতে হবে’, ‘সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’সহ নানা স্লোগানে মুখরিত করেন প্রেসক্লাব যশোর চত্বর।
উল্লেখ্য কোটাবিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র নাহিদ হাসান বৃহস্পতিবার শাহবাগ অবরোধকালে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’এর নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন এবং রোববার দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে ধর্মঘটের ডাক দেন।
শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে এ আন্দোলন করছেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ছাড়া); সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যশোরে কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকলাইন মুস্তাক, ইব্রাহিম খলিল, রাফিক তুষার, সাব্বির হোসেন এবং এমএম কলেজ শাখা নেতৃত্ব দেন খন্দকার রুবাইয়া, নিপা সরকার।