অযত্নে পড়ে আছে শহিদ মিনার, দেখে যেন মনে হয় মাছের হাট

Sanchoy Biswas
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ন, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৭:২৮ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাত পোহালেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা বিশ্বে এই দিনটি পালন করা হলেও অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নে নোয়াহাটি বাজার শহিদ মিনারটি।

এক যুগ আগে নির্মিত হয় একটি পাকা শহিদ মিনার। কিন্তু নির্মাণের পর থেকেই রক্ষণাবেক্ষণ আর অযত্ন-অবহেলায় শহিদ মিনারটি দেখলে মনে হবে মাছের বিশাল হাট।

আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী বাঁচাতে ছয় দফা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জামায়াতের র‌্যালি

স্থানীয়রা জানায়, প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এলে কোনো রকম পরিষ্কার করা হলেও পরদিন থেকেই বাজারের সমস্ত ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলা শুরু হয়। শহিদ মিনারের বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েন এলাকার স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শাহজাহানপুর ইউনিয়ন মিনারের ওপরেও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। উপজেলা চত্বর শহিদ মিনারে ময়লা ও অপরিচ্ছন্ন। নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে সাধারণ মানুষের চলাফেরা বিঘ্নিত হয়।

আরও পড়ুন: দেবীদ্বারের কৃষিতে ফিরেছে সবুজ হাসি

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুক মিয়া বলেন, ‘ভাষা শহিদদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষা বাংলা পেয়েছি। আর ভাষা শহিদদের স্মৃতি ও আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ পাড়া-মহল্লায় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার তৈরি করা হয়। শহিদ মিনার শুধু একদিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়। শহিদ মিনার এভাবে মাছের হাট ও ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হলে এ প্রজন্মের কাছে শহিদ মিনারের গুরুত্ব কমে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ বিন কাশেম বলেন, শহিদ মিনারটি দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।