নিজের তৈরি উড়োজাহাজ নিয়ে আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের যুবক

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ন, ০৪ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, ০৫ মার্চ ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জুলহাসের তৈরি বিমান ওড়ানো দেখতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাজির হয়েছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকায় যমুনা নদীর চরে নিজের তৈরি ‘উড়োজাহাজে’ আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের তরুণ জুলহাস।

চার বছরের চেষ্টায় নিজের তৈরি আরসি উড়োজাহাজ নিয়ে আকাশে উড্ডয়ন করলেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি জুলহাস মোল্লা। 

আরও পড়ুন: বাংলা প্রেসক্লাব অব মিশিগানে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত কুলাউড়ার লিটু

জুলহাস মোল্লা জানান, তার বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রাম। সেখানে ২০১৪ সালে জিয়নপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে। অর্থাভাবে আর পড়ালেখা হয়নি। নদী ভাঙনের কারণে ঘর হারিয়ে বর্তমানে শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামে তাদের বসবাস। ছয় ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে ঢাকায় কাজ করেন। 

তিনি জানান, গত চার বছর আগে হঠাৎ মাথায় আসে ছোট ছোট রিমোট কন্ট্রোলার বিমান তৈরি করার। এর কিছুদিন পরে আল্ট্রালাইট বিমান তৈরির কথা মাথায় আসে। কিন্তু সেটা তৈরি করে তেমন সাফল্য আসেনি। পরে গত এক বছর চেষ্টা করে এই বিমানটি তৈরি করতে সক্ষম হন। মূলত টাকার যোগান না থাকায় পাম্প ইঞ্জিন, আর অ্যালুমিনিয়াম, এসএস দিয়ে মূলত বিমানটি তৈরি করা হয়। বিমানটির ওজন হয়েছে একশত কেজি। গতি পরিমাপের জন্য লাগানো হয়েছে একটি ডিজিটাল মিটার, পাখা তৈরি করা হয়েছে অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে। ইঞ্জিন চলে অকটেন অথবা পেট্রল দিয়ে। 

আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে মানবতার দেয়াল অসহায় মানুষের মুখে নতুন হাসি, মানবিকতার নতুন ইতিহাস

জুলহাস বলেন, এই উড়োজাহাজ মূলত পরীক্ষামূলকভাবে প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে এটি তৈরি করা হয়নি। তবে সরকারি অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাণিজ্যিকভাবে এটি তৈরি করা যেতে পারে। ৫০ ফুট ওপরে উড়তে পারে উড়োজাহাজটি।

জেলা প্রশাসক মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, জুলহাসের গবেষণাকাজে সরকার সহযোগিতা করবে। তবে এটি কারিগরি বিষয়। প্রাথমিকভাবে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করে তাঁকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।