গাবতলীতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

Sanchoy Biswas
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:১৩ অপরাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:১৯ অপরাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বগুড়ার গাবতলীতে শাহাদত হোসেন নামের এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি গাবতলী কৃষি দপ্তরের বিভিন্ন কৃষি উপকরণ ও সার-বীজ বিতরণের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন থেকেই অবাধে অনিয়ম পরিপন্থী কাজ করে আসছেন।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একজন ব্যক্তিকে অনিয়ম করে (স্বাক্ষর না দিয়ে) ০৮ জন কৃষকের নামে সার ও বীজ উত্তোলনে সহযোগিতা করেছেন।

আরও পড়ুন: মনজুর এলাহী'র উপরই তৃণমূলে আস্থা, রাজনীতির মাঠে বাড়ছে জনপ্রিয়তা

জানা গেছে, গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের বড় ইটালী, ছোট ইটালী, মাঝবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের দায়িত্বে আছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন। গতকাল রবিবার সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, বড় ইটালী গ্রামের মোকছেদ (৬২) নামের একজন ব্যক্তি ভুয়া নাম-স্বাক্ষর দিয়ে ০৮ জন কৃষকের নামে সার ও বীজ উত্তোলন করে অটোভ্যানে যোগে নিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে ০৫ জনের নামে সার ও বীজ নিয়ে গেছেন নশিপুর ইউনিয়নের মাঝবাড়ী গ্রামের শামিমা আক্তার নামের এক মহিলা।

এতে মোকছেদ জানান, কৃষকদের অনুরোধে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেনের সহযোগিতায় তিনি ০৮ জনের সার-বীজ নিয়ে যাচ্ছেন। রবিবার বিকাল পৌনে ৪টায় দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরে কোনো কৃষক নেই। তবে ০৪টি অটোভ্যান চালক কৃষি দপ্তরের গুদাম থেকে সার ও বীজ বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকের অভিযোগ, একজন হয়ে এভাবে অনেকজনের সার-বীজ উত্তোলনের সুযোগ পেলে আত্মসাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন জানান, নশিপুর অনেক দূরে হওয়ায় কৃষকরা স্বশরীরে গাবতলী সদরে আসতে চান না। তাই ০৮ জনের সার-বীজ মোকছেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম (১৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কৃষি কার্ড দেখিয়ে একজন কৃষক স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নাম-স্বাক্ষর দিয়ে সার ও বীজ উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু একজনের হাতে ০৮ জনের সার-বীজ দেওয়া কোনো মতেই ঠিক নয় এবং এটি সরকারি নিয়মের পরিপন্থী। তিনি আরও জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং এই অনিয়মের দায়ভার সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকেই নিতে হবে।