উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পাঁচ জনসহ সারাদেশে নিহত ১১
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারজন রাজধানী ঢাকায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দুজন এবং উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দেশজুড়ে দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ৫ ঘণ্টা পর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মোহাম্মদ মঈনুল আহসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভূমিকম্পে দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি জানান, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। হতাহতদের চিকিৎসায় দেশের সব হাসপাতালে জরুরি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
আরও পড়ুন: কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন, ফায়ার সার্ভিসের ১৬ ইউনিটের প্রচেষ্টা
রাজধানীর বংশালের কসাইটুলী এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনের রেলিং ধসে নিচে পড়ে তিন পথচারী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে—বাবা: হাজি আব্দুল রহিম (৪৭) ছেলে: মেহরাব হোসেন রিমন (১৩)।
এ ছাড়া মায়ের সঙ্গে বাজার করতে গিয়ে একই ঘটনায় নিহত হন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফি। তার মা নুসরাত গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে মুগদা মদিনাবাগে নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে পড়ে ভবনের নিরাপত্তাকর্মী মাকসুদ (৫০) নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ভূকম্পনের ঘটনায় দেয়াল ধসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে এ সময় তার মেয়ে আহত হন।
একই উপজেলায় ভূমিকম্পের সময় একটি টিনসেড ঘরের দেয়াল ধসে পড়ে ফাতেমা (১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ সময় শিশুটির মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগম আহত হন।
জেলার বিভিন্ন স্থানে আরও হতাহত হওয়ার খবর মিলেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে—সানশেড ভেঙে মাথায় পড়ে: বাবা-ছেলে দেয়ালচাপা পড়ে: এক বৃদ্ধ গাছ থেকে পড়ে: এক ব্যক্তি আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে: আরও একজন সদর হাসপাতাল ও পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ এবং নরসিংদীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন— দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৪০), তার ছেলে হাফেজ মো. ওমর (৮), কাজেম আলী ভূইয়া (৭৫), নাসির উদ্দিন (৬৫), ফোরকান মিয়া (৪৫)।
এদের বাড়ি নরসিংদীর সদর, পলাশ ও শিবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘরবাড়ি ধসে এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
শোকবার্তায় তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
একই সঙ্গে তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে।
