কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়েই গুলিতে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ন, ১০ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:১৬ অপরাহ্ন, ১০ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন (৫৬)। সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মামুন লক্ষ্মীপুর সদরের মোবারক কলোনির এস এম ইকবাল হোসেনের ছেলে।

আরও পড়ুন: ঢাকার ৪ গুরুত্বপূর্ণস্থানে চোরা গুপ্তা ককটেল হামলায় আতঙ্ক তৈরি

নিহতের স্ত্রী রিপা আক্তার জানান, “আমার স্বামী বিএনপি সমর্থিত একজন কর্মী এবং ব্যবসায়ী ছিলেন। আজ তার আদালতে হাজিরা ছিল। পরে জানতে পারি, তাকে গুলি করা হয়েছে। হাসপাতালে এসে দেখি, তিনি আর বেঁচে নেই।”

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ বলেন, “বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ শুনি। বাইরে এসে দেখি, এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনি, পরে অবস্থার অবনতি দেখে ঢামেকে পাঠানো হয়।”

আরও পড়ুন: ওসি ও ডিআইজি পরিচয়ে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক গ্রেফতার

এ ঘটনায় নিহতের খালাতো ভাই হাফিজ বলেন, “আমার ভাই সাধারণ মানুষ ছিলেন। কে বা কারা কেন তাকে হত্যা করেছে, তা আমরা জানি না।”

ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, দুইজন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত হঠাৎ এসে মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “তারিক সাইফ মামুন নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনি ‘ক্যাপ্টেন ইমন গ্রুপ’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।”

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিহত মামুন একসময় শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্যাপ্টেন ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে কয়েক বছর ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। দীর্ঘ ২৪ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালে মামুন মুক্তি পান।

এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তেজগাঁও সাতরাস্তায় মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলে তিনি আহত হন; তখন পথচারী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হন।

নিহত মামুন ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই শহীদ সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি।