দলীয় মনোনয়নে ক্ষোভ প্রতিবাদ
দৌলতপুরে মোল্লা পরিবারের পিতা পুত্রের সিন্ডিকেট
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শুরু হয়েছে মোল্লা পরিবারের পিতা পুত্রের অবৈধ প্রবেশ সিন্ডিকেট। স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাঠে না থাকলেও ৫ ই আগস্টের পরে প্রত্যেকের শুরু হয়েছে দখলদারিত্ব চাঁদাবাজি। উপার্জন করেছে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। সর্বশেষ বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়া ১ আসনের দলীয় মনোনয়ন হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযোগে জানা যায় ৫ আগস্টের পর থেকে দৌলতপুর ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস থেকে প্রতিদিন দেড় লাখ টাকা করে চাঁদা তুলে রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার ছেলে শিশির এবং তার লোকজন। রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার ছেলে শিশির মোল্লা, এবং বাচ্চু মোল্লার আপন ছোট ভাই শামীম মোল্লার নেতৃত্বে পুরো দৌলতপুরে মাদক ব্যবসা, অবৈধ বালু উত্তোলন এবং চোরাকারবারি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। গত সাত-আট মাস ধরে বাচ্চু মোল্লার জনপ্রিয়তা একেবারেই প্রায় শূন্যের কোঠায়। বিএনপি'র নিরব সমর্থক এবং সাধারণ ভোটাররা বাচ্চু মোল্লাকে সমর্থন করে না। বাচ্চু মোল্লার নমিনেশন নিশ্চিত হলে দৌলতপুরে বিএনপি ইমেজ হারাবে।
রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার বাবা আহসানুল হক পচা মোল্লা ২০০১ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার অপকর্মের কারণে তার বাবা আহসানুল হক পচা মোল্লা মন্ত্রীত্ব হারান। ওই সময় বিষয়টি সারা দেশে আলোচনায় তোলপাড় তৈরি করে।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে ছাত্রদল নেতার হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
আলোচিত এক এগারোর পর বাচ্চু মোল্লার পরিবার গা ঢাকা দেয়।পরে মান্নান ভূঁইয়ার সাথে যোগদান করে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের সরকার বিরোধী আন্দোলনে মোল্লা পরিবারের কুষ্টিয়াতে দৃশ্যমান ভূমিকা দেখা যায়নি। ৫ আগস্ট এর পর হঠাৎ করে তাদের আবির্ভাব এলাকার নিয়ন্ত্রণের উপর। সীমান্তের চোরা চালানি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ও স্থানীয় অবৈধ সকল কর্মকান্ড দখলদারিত্ব নিয়ন্ত্রণ নেয় পিতা পুত্রের এই অদম্য সিন্ডিকেট। স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধানে তাদের কিছু বিবরণ তুলে ধরা হলো।
১. বাচ্চু মোল্লা:
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে কামরাঙ্গার প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযোগ দায়ের
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির অন্যতম আলোচিত নেতা বাচ্চু মোল্লা, যিনি ১/১১ পালিয়ে যাবার পর যখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান জালিমের অত্যাচারে হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিলেন তখন এই বাচ্চূ মোল্লা উনাদের পরিবারকে দেওয়া খালেদা জিয়ার সমস্ত অবদান ভূলে সংস্কার পন্থি হয়েছিলেন।
২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে উনি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট না করে উনার দুলা ভাইয়ের (আওয়ামী লীগের) ভোট করেন। ২০০৯ সালের উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সেক্রেটারী তৌহীদের ব্যাবসায়ীক পার্টনার তারাগুনিয়া বাজারের চিহ্নিত চোরা চালানী যার কাছে বাচ্চূ মোল্লা চেয়ারম্যান পদ বিক্রি করেছিল সেই বিল্লাল চেয়ারম্যানকে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক করেছিল। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে উপজেলা বিএনপির নেতাদের ডেকে নৌকার ভোট করার জন্য চাপ দিয়েছিল এবং নিজে নৌকার ভোট করেছিল। ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা বিএনপির প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে উনার পক্ষে ভোট না করে বাড়ীতে বসে ছিলেন এমনকি ভোট গোনার লোক পর্যন্ত ছিল না।
২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার পর কেন্দ্র থেকে পাওয়া টাকা এবং চাঁদাবাজি করা টাকা দলীয় কাজে খরচ না করে নিজে গাড়ী কিনেছে এবং আত্মসাত করেছে। ২০১৮ সালের উপজলা নির্বাচনে উনি এবং বিল্লাল চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে উনার ভাগনে আফাজ বিশ্বাসের ছেলে নৌকার প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নৌকার পক্ষে সরাসরি ভোট করেন। শুধু তাইনা তারগুনিয়া বাজারে উনার নির্দেশে বিল্লাল চেয়ারম্যান বিএনপির লোকজনকে নৌকার ভোট করার জন্য চাপ দেয় যা যে কোন লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে বলবে।
দৌলতপুর থানার শীর্ষ মাদক বাবসায়ীদের সাথে রয়েছে উনার সুসম্পর্ক, এই কাজে উনার ছেলে এবং ভাগীনা সহায়তা করে, মাদক বাবসায়ীদের কাছ থেকে উনি নিয়মিত চাঁদা নেন। একবার এক মাদক বাবসায়ীর খরচে উনার সমস্ত পরিবার কক্সবাজর ঘুরে এসেছে ।
৫ আগস্টের পর উনি এবং উনার পরিবার দখল, লুটপাট এবং মামলার ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন, যদিও ১৫ বছরে একদিনের জন্যও বাড়ীর বাইরে মিছিল মিটিং করেন নি এবং বাড়ীতে শুয়ে থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। দৌলতপুরের পতিত এমপি রেজাউল চৌধুরী, তার ভাই কুখাত টোকেন চৌধুরী এবং ঐ পরিবারকে নিরাপত্তার বিনিময়ে কোটি টকা নিয়েছেন, একইভাবে অতাচারী অধিকাংশ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের নিরাপত্তার বিনিময়ে কোটি টকা নিয়েছেন। মরীচা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আওয়ামী লীগের হাতে খুন হলেও কোন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নামে মামলা হয়নি এখানেও টাকার খেলা।
উনার প্রত্যক্ষ মধ্যে দৌলতপুর উপজেলার সমস্ত হাট, ঘাট, বিল, জলাশয় এবং সরকারী দপ্তর উনার ভাই এবং বিল্লাল চেয়ারম্যান দখল করে নিয়েছে। আল্লারদর্গা বাজারে অবস্থিত নূরুজ্জামান বিশ্বাস ফাক্টরীতে একজন শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেলে উনি বিল্লাল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সালিশের করে টাকা আদায় করে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে অল্প কিছু টাকা দিয়ে পুরো টাকাটা উনারা দুজন মিলে মেরে দিয়েছেন।
আল্লারদর্গায় অবস্থিত আনোয়ারা বিশ্বাস হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় একজন প্রসুতি মারা গেলে ওনার ছেলের মাধ্যমে প্রচুর টাকা নিয়ে ঐ মামলা ধামাচাপা দেন।
উনার ভাই শামীম মোল্লা এবং বিল্লাল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে BAT (বিটিসি) এবং অন্যান্য তামাক ফ্যাক্টরি দখল করে নিয়েছে। দৌলতপুর উপজলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রিন্সিপাল এবং প্রধান শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে তুলে দেওয়ার নামে কোটি টাকার বানিজ্য করেছে।
কেন্দ্র থেকে ক্রস ফায়ারে মারা যাওয়া নিহতের পরিবারকে দিয়ে মামলা করানোর সময় বিল্লাল চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত শত্রুর নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে এই বিষয়ে বাচ্চূ মোল্লার সম্মতি ছিল।
শামীম মোল্লা
বাচ্চু মোল্লার ভাই শামীম মোল্লা যিনি জীবনে কখনোই বিএনপি করেনাই ছাত্র জীবনে বাকশাল সমর্থিত ছাত্রলীগ করত বিদেশে গিয়েছিল জাতীয় পর্টির সার্টিফিকেট নিয়ে (তৎকালিন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর সার্টিফিকেট) তাকে উনার বিকল্প করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শামীম মোল্লা ২০০১ সালের পর দেশে এসে দৌলতপুরের সাধারন মানুষের (যাদের বেশির ভাগ দৌলতপুরের বিএনপির নেতা কর্মী) কয়েক কোটি টাকা মেরে দিয়ে ঢাকায় পালিয়ে গিয়েছিল, যার দৃশ্যমান কোন উপার্জন নাই ভোটের সময় ভোট বেচা দালালী অথবা চাঁদাবাজিতে সংসার চলত ৫ আগস্টের পর উনি সারা দৌলতপুরে চাঁদাবাজি, দখল বানিজ্য এবং মামলার ভয় দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডে এলকার লোকজন শামীম মোল্লার জড়িত থাকার কথা বলেছে ঐ মামলার ১ নং আসামি টুকু উনার ক্যাশিয়ার হিসাবে পরিচিত ছিল। তারাগুনিয়া থানার মোড় আসলে দেখবেন একটি বিএনপির অফিস এখানে বসে শামীম মোল্লা বিভিন্ন সালিশের মাধ্যমে লোকজনের কাছ থেকে টকা নেয়, কোনটা বউছাড়া, কোনটা জমি দখল কোনটা মারামারি সবকিছুই চুক্তিতে করা হয়।
শিশীর মোল্লা
দৌলতপুরের মানুষ যাকে মিষ্টার পার্সেন্টেশ হিসাবে চেনে, বাচ্চূ মোল্লার একমাত্র পুত্র, দৌলতপরে যেখানে যা কিছু ঘটে তার নেতৃত্বে আছে শিশীর মোল্লা। দৌলতপুরে রেজিষ্ট্রি অফিস, ইন্জিনিয়ারিং অফিস, বিএডিসি অফিস, ভূমি অফিস, ফুড অফিসসহ যত অফিস আছে সমস্ত অফিস নিয়ন্ত্রনে নিয়ে চাঁদাবাজি করে। দৌলতপুরের সমস্ত ঘাট, সমস্ত বড় বড় হাট এবং বালির ঘাট শিশীর মোল্লার দখলে। বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক চোরাচালানী শিশীর মোল্লার নেতৃত্বে ব্যাবসা করে। শিশীর মোল্লার সর্বসময়ের সঙ্গী আওয়ামী লীগের ছেলেরা।
মোস্তফা:
স্থানীয় ভাবে গরু চোর হিসাবে পরিচিত, ভাই আওয়ামী লীগের নেতা বিগত ১৭ বছর ভাই এবং ভাইয়ের ছেলেদের কারনে আওয়ামী লীগের সাথে মিশে ছিল। ৫ই আগস্টের পর এলাকায় লুটতরাজ এবং প্রচুর চাঁদাবাজি করেছে, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির বিতর্কিত নেতাদের মধ্যে উপরের সারির একজন।
জহুরুল:
বাচ্চু মোল্লা এবং আফাজ বিশ্বাসের ক্ষমতায় থাকলে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ। টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে ভোট করেছে। ৫ই আগস্টের পর এলাকায় লুটতরাজ এবং প্রচুর চাঁদাবাজি করেছে। কিছুদিন আগে উনার ছেলে প্রচুর অস্ত্রসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে এই কারনে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি জায়গা হয়েছিল না, বর্তমানে বাচ্চূ মোল্লার হাত ধরে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপিতে ঢোকার চেষ্টা করছেন।
নজরুল ইসলাম (নজরুল ভাটা নামে পরিচিত): ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ না করেই বর্তমানে বাচ্চূ মোল্লার হাত ধরে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপিতে ঢোকার চেষ্টা করছেন।
বিল্লাল চেয়ারম্যান:
কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাবেক সেক্রেটারী তৌহীদের ব্যাবসায়ীক পার্টনার তারাগুনিয়া বাজারের চিহ্নিত চোরা চালানী, মূর্খ অর্থের বিনীময়ে বাচ্চূ মোল্লার কাছ থেকে চেয়ারম্যান পদ কিনে নিয়েছিল, দলে অনেক যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদেরকে বাদ দিয়ে বাচ্চূ মোল্লা টাকার বিনিময়ে দলের ক্ষমতা ব্যবহার করে বিল্লালকে চেয়ারম্যান বানিয়েছিল। ২০০৯ সালের উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে আবারও টাকার বিনিময়ে সেই বিল্লাল চেয়ারম্যানকে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক করেছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বরাবরই আওয়ামী লীগের সাথে ভাল রেখে চলেছে , ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাচ্চূ মোল্লার নির্দেশে বিএনপির নেতাদের ডেকে নৌকার ভোট করার জন্য চাপ দিয়েছিল এবং নিজে নৌকার ভোট করেছিল। ২০১৪ সালের উপজেলা ভোটে বএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে নিস্ক্রিয় ছিল। ২০১৮ সালের উপজলা নির্বাচনে বিল্লাল চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে আফাজ বিশ্বাসের ছেলে নৌকার প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নৌকার পক্ষে সরাসরি ভোট করেন। শুধু তাইনা তারগুনিয়া বাজারে বিল্লাল চেয়ারম্যান বিএনপির লোকজনকে নৌকার ভোট করার জন্য চাপ দেয় যা যে কোন লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে বলবে।
৫ আগস্টের পর বিল্লাল চেয়ারম্যান দখলবাজি, লুটপাট এবং মামলার ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন, যদিও দৌলতপুরের পতিত এমপি রেজাউল চৌধুরী, তার ভাই কুখাত টোকেন চৌধুরী এবং ঐ পরিবারকে নিরাপত্তার বিনিময়ে কোটি টকা নিয়েছেন, একইভাবে অত্যাচারী অধিকাংশ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নিরাপত্তার বিনিময়ে কোটি টকা নিয়েছেন। মরীচা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আওয়ামী লীগের হাতে খুন হলেও কোন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নামে মামলা হয়নি এখানেও টাকার খেলা। বিল্লাল চেয়ারম্যান টিআর, কাবিখা, টিসিবিসহ সরকারী দান এবং অনুদান নিজের ইচ্ছামত বিলি করেছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপযুক্ত লোক এগুলো পাইনি। বিল্লাল চেয়ারম্যান BAT(বিটিসি) এবং অন্যান্য তামাক ফ্যাক্টরি দখল করে নিয়েছ। দৌলতপুর উপজলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রিন্সিপাল এবং প্রধান শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে তুলে দেওয়ার নামে কোটি টাকার বানিজ্য করেছে। দৌলতপুর উপজলার সমস্ত হাট, ঘাট,বিল, বিল্লাল চেয়ারম্যান দখল করে নিয়েছে। আল্লারদর্গা বাজারে অবস্থিত নূরুজ্জামান বিশ্বাস ফাক্টরীতে একজন শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেলে বিল্লাল চেয়ারম্যান সালিশ করে টাকা আদায় করে নিহত শ্রমিকের পরিবার কে অল্প কিছু টাকা দিয়ে পুরো টাকাটা মেরে দিয়েছেন। আল্লারদর্গায় অবস্থিত আনোয়ারা বিশ্বাস হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় একজন প্রসুতি মারা গেলে ওনার ছেলের মাধ্যমে প্রচুর টাকা নিয়ে ঐ মামলা ধামাচাপা দেন। কেন্দ্র থেকে ক্রস ফায়ারে মারা যাওয়া নিহতের পরিবারকে দিয়ে মামলা করানোর সময় বিল্লাল চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত শত্রুর নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে ।
শামীম:
স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বর্তমানে বহিস্কৃত শুধুমাত্র শিশীর মোল্লার লোক হওয়ার কারনে বর্তমানে বাচ্চূ মোল্লার হাত ধরে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপিতে ঢোকার চেষ্টা করছেন।
সাইদুর চেয়ারম্যান:
মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সমস্ত ইউনিয়নে লুটপাট চাঁদাবাজিতে ১নং। একরাতে এক জনের বাড়ী থেকে ৫৩ টা মহিষ নিয়ে এসে বিক্রি করে দিয়েছিল যার দাম প্রায় দুই কোটি টাকা। অতি সম্প্রতি একজনকে বাড়ী থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
একটি দুষ্ট চক্র বিএনপির নামে সারা দৌলতপুর উপজলায় অরাজকতা কায়েম করে রেখেছে এর থেকে দৌলতপুর উপজলা বিএনপির ভাবমূর্তি উদ্ধারে সৎ, যোগ্য ও মেধাবী নেতাদের দিয়ে আগামি কমিটি করতে হবে।





