জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হত্যা

প্রেম-প্রতারণা থেকে পরিকল্পিত খুন, ছাত্রী ও মাহিরের স্বীকারোক্তি

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ন, ২১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২:৫৫ অপরাহ্ন, ২১ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছাত্রী ও তার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমান প্রাথমিকভাবে দায় স্বীকার করেছেন। পুলিশ বলছে, হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল প্রায় এক মাস আগে থেকেই।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বংশাল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: বর্ষার ঘটনা অনেকটা মিন্নির কাছাকাছি: ডিএমপি

তিনি জানান, দীর্ঘমেয়াদি প্রেমের সম্পর্কের ইতি টানার পর সেই ছাত্রী নতুনভাবে জোবায়েদের প্রতি ঘনিষ্ঠ হন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঈর্ষা, মানসিক প্রতিশোধ ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যার পরিকল্পনা নেয় তারা।

২৫ সেপ্টেম্বর মাহির ও ছাত্রী যৌথভাবে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে, বলেন ওসি।

আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল বিপর্যয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘোষণা

হত্যাকাণ্ডের দিন, রোববার বিকেলে আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলা ভবনের নিচে জোবায়েদকে প্রথমে ঘিরে ফেলে মাহির। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ সময় মাহিরের সহযোগী ছিল ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। পুরো সময়ে তথ্য ও অবস্থান জানিয়ে সহযোগিতা করেন ওই ছাত্রী, জানান ওসি।

জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একই সঙ্গে জবি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন। তিনি পুরান ঢাকার ওই বাড়িতে প্রায় এক বছর ধরে ছাত্রীটিকে কোচিং করেন।

রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে তৃতীয় তলার সিঁড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই ছাত্রীটিকে হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরদিন মাহির ও ফারদিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।