সাদিক কায়েমের সাইবার মামলার বিরুদ্ধে ছাত্রদলের তীব্র নিন্দা

Any Akter
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:১৯ অপরাহ্ন, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:৫৮ অপরাহ্ন, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি সাদিক কায়েমের সাম্প্রতিক সাইবার মামলাকে “বাকস্বাধীনতা হরণের পদক্ষেপ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনায় গভীর নিন্দা প্রকাশ করে মামলাটি প্রত্যাহার এবং শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখপ্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ছাত্রদলের বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও পেজের বিরুদ্ধে “বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক” মামলা করেছেন। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তিনি সাইবার ক্রাইমের অপব্যবহার করছেন এবং এর মাধ্যমে অনলাইনে মুক্ত মতপ্রকাশের পরিবেশ ক্ষুণ্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রোক্টরিয়াল টিমের সদস্য ছুরিকাঘাতে আহত

ছাত্রদল দাবি করে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ববর্তী আমলের কঠোর সাইবার আইন বাতিল করার পর মানহানি বা মতপ্রকাশবিষয়ক অভিযোগে মামলা করার সুযোগ আর নেই। তবুও সাদিক কায়েম সেই আইনকে অপব্যবহারের মাধ্যমে “সাবেক সরকারের মতো কর্তৃত্ববাদী কৌশল অনুসরণ করছেন” বলে মন্তব্য করে সংগঠনটি। তাদের অভিযোগ, মিম পেজ থেকে শুরু করে ব্যঙ্গাত্মক ট্রল পেজ—সবই তার মামলার আওতায় এসেছে, যা “অসহিষ্ণু রাজনৈতিক আচরণের” বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২৮ ধারায় মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলে অভিযোগকারী নিজেই শাস্তিযোগ্য। ছাত্রদল অভিযোগ তোলে যে সাদিক কায়েম অতীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরোধী দলীয় এক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছিলেন, এবং তার অনুসারীরা অনলাইনে নারীদের হেনস্তা ও বিরোধী মতের প্রতি হয়রানি চালিয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে চারদিনব্যাপী বিআইআইটি-আইআইআইটি উইন্টার স্কুল ২০২৫ শুরু

ডাকসু ভিপির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা একজন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ওপর সাইবার মামলা দায়ের করাকে “অভূতপূর্ব ও নিন্দনীয়” বলেছে ছাত্রদল। তারা বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ ডাকসুর ভিপি পদকে বিতর্কিত করেছে এবং শিক্ষার্থীদের অনলাইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অবমূল্যায়ন করেছে।