পাকিস্তানের পতাকা আঁকাকে কেন্দ্র করে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের উপর হামলা
বিজয় দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পদদলিত করার উদ্দেশ্যে একদল শিক্ষার্থী পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে গেলে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও অন্য একদল শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একইসাথে সেই মুহুর্তের সংবাদ সংগ্রহের সময় ক্যাম্পাসের দুই সাংবাদিককের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত হলের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জের ধরে রাতভর উত্ত্যক্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পাকিস্তানের পতাকা আঁকা কে কেন্দ্র করে এই ঘটনা সূত্রপাত ঘটে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি বাহিনীর বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিষয়টি অবান্তর: চবি উপ-উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ফরহাদ ইবনে বাছিত বলেন, আমরা বিজয় দিবস উপলক্ষে পদদলিত করার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে পাকিস্তানের পতাকা আঁকছিলাম, তখন হঠাৎ কয়েকজন সহকারী প্রক্টর এসে আমাদের বাধা দেয় প্রথমে। তারপর তারা আমাদের পতাকা আকাঁর জন্য কেন অনুমতি নেয়নি তা জানতে চায়। সেই সময় আমাদের উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে একপর্যায়ে স্থান ত্যাগ করেন।
তিনি আরও বলেন, কিছুক্ষণ পরে আমরা পুনরায় পতাকা আকাঁ শুরু করলে ক্যাম্পাসে থাকা আসসুন্নাহ হলের শিক্ষার্থীরা অতর্কিতভাবে আমাদের দিকে তেড়ে আসেন এবং প্রক্টরের সামনে হামলা চালায়। তারা আমাদের উপর হামলার সময় বলে, 'পাকিস্তানের সাথে সমঝোতা হয়ে গেছে, এখানে পাকিস্তানের পতাকা আকাঁ চলবেনা।'
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ সহ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ দফা দাবি
এ-সময় সংবাদ সংগ্রহে থাকা দুই সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসসুন্নাহ হলের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন কালের কন্ঠের মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাল্টিমিডিয়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ও জনকণ্ঠের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ওমর ফারুক জিলন সহ আরও কয়েকজন।
কালের কন্ঠের মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমি লাইভ সংবাদ সংগ্রহের সময় আস সুন্নাহ হলের শিক্ষার্থীরা আমাকে বাধা দেয় এবং একপর্যায়ে আমি কেন বাধা দেয় এটা জিজ্ঞেস করলে তারা আমার উপর চড়াও হন। এ-সময় উপস্থিত প্রক্টরের সামনে আমাকে আঘাত করা হয়েছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
হামলার শিকার আরেক সাংবাদিক ওমর ফারুক জিলন বলেন, আস সুন্নাহ হলের শিবিরের কয়েকজন আমার উপরে পূর্ব ক্রোধের জেরে আজকে হামলা করেন। আমি এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজমুল হক বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। উভয় পক্ষকে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।





