গাজায় যুদ্ধবিরতি আসবে আগামী সপ্তাহেই, জানালেন বাইডেন

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ৭:০৭ পূর্বাহ্ন, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী সপ্তাহেই গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে বলে আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বিবিসি বলছে, ফিলিস্তিনে মানবিক সংকট চলাকালেই মিশর, কাতার, আমেরিকা, ফ্রান্স ও আরও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা চেষ্টা করছেন হামাস ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে। এ ছাড়া হামাসের হাতে জিম্মিদেরও মুক্তির চেষ্টা করছেন তারা। এমনকি ইসরায়েলে বন্দী ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন তারা। 

আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে রায় আন্তর্জাতিক আদালতের, স্বাগত জানাল পাকিস্তান

এ নিয়ে সোমবার নিউইয়র্কে যাওয়া জো বাইডেনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি রয়েছি। যদিও এখনো চুক্তি হয়নি, তবে চুক্তির খুব কাছে রয়েছি। আমি আশা করছি আগামী সোমবারের মধ্যে আমরা যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রয়োগ দেখতে পাবো।’ 

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন আশা জেগেছে। শনিবার ফ্রান্সের প্যারিসে যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য যায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। সেখানে আলোচনায় অগ্রগতির খবর পাওয়ার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া রোববার আমেরিকার হোয়াইট হাউস থেকেও যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে বোঝাপড়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৬৯ জন নিহত, মোট প্রাণহানি ৬০ হাজার ছাড়াল

এর আগে শনিবার তেল আবিবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইসরায়েলের জনগণ। হামাসের সঙ্গে চুক্তি এবং জিম্মি ফেরত আনার বিষয়ে নেতানিয়াহুর ব্যর্থতার জন্যই এ বিক্ষোভের সূচনা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নতুন করে নির্বাচনের আহ্বানও জানান। এখান থেকেই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি উঠে আসে।

এরপর মিসর, কাতার ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় শনিবার সন্ধ্যায় প্যারিসে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভাকে আলোচনার বিষয়ে বলা হয়।

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, প্যারিস আলোচনায় লক্ষ্য যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা। এই চুক্তিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে।

অন্যদিকে রোববার আমেরিকার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, একটি জিম্মি চুক্তি এবং অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ‘মূল রূপরেখা’ সম্পর্কে একটি বোঝাপড়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। এ ঘটনার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত উপত্যকায় ২৯ হাজারের ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার।