শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মিয়ানমার ও ব্যাংককে জরুরি অবস্থা, কেঁপে উঠল বাংলাদেশও

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ন, ২৮ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, ২৮ মার্চ ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭।  শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। 

সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দেশটিতে ইরাবতী নদীর ওপর নির্মিত ঔপনিবেশিক আমলের একটি সেতু ধসে পড়েছে। 

আরও পড়ুন: গাজায় অনাহার-অপুষ্টিতে শিশুসহ আরও ১১ জনের মৃত্যু

ইরাবতী জানিয়েছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া ৯১ বছর বয়সী ঔপনিবেশিক আমলের আভা সেতুটি ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। পুরাতন সাগাইং সেতু নামেও পরিচিত এই সেতুটি মান্দালয় এবং সাগাইং অঞ্চলের মধ্যে ইরাবতী নদীর ওপর বিস্তৃত।

এছাড়া রাজধানী নেপিদোর পাশাপাশি মান্দালয় শহরের বেশ কিছু ভবন ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পের তীব্রতায় দেশটির রাস্তাঘাট স্তব্ধ হয়ে গেছে। ৭.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পে মান্দালয়, নেপিদো এবং অন্যান্য এলাকার বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে বলেও জানিয়েছে দ্য ইরাবতী।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প-পুতিন

স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে ইউএসজিএস জানিয়েছে। গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

তবে বার্তাসংস্থা এএফপি মিয়ামারের রাজধানী নেপিদো থেকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতায় রাস্তাঘাট স্তব্ধ হয়ে গেছে এবং ভবন থেকে ছাদের টুকরো ভেঙে পড়েছে।

থাই প্রধানমন্ত্রী পাইটংটার্ন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর কর্তৃপক্ষ ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

থাই কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করছে এবং পরবর্তী করণীয় পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে। আল জাজিরা বলছে, ব্যাংককের চাতুচাক এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে লোকজন আটকে থাকার খবর পাওয়া গেছে। এমনকি ব্যাংককে কিছু মেট্রো এবং হালকা রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।

এদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পের কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।   

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের পাশের দেশ মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার। ৭ দশমিক ৩ মাত্রার এই ভূমিকম্প বড় ধরনের বলে গণ্য করা হয়।