আদালতে বিচারকের সামনেই সাংবাদিককে মারধর, অভিযুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারকের উপস্থিতিতেই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাস পিয়াসের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আসিফ মোহাম্মদ সিয়াম সময় টিভির প্রতিবেদক। তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
সেদিন আসামি লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান পান্নার জামিন শুনানি নির্ধারিত ছিল। বিকেল ২টা ৫৫ মিনিটে সাংবাদিক পান্নাকে আদালতে হাজির করা হলে কয়েকজন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করতে যান। এ সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক মোকতাদির রশীদ কারাগারে নির্যাতনের বিষয়ে পান্নাকে প্রশ্ন করলে আইনজীবী মহিউদ্দিন মাহি আপত্তি জানান। বিষয়টি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হলে আদালত থেকে বের হয়ে যেতে বলেন তিনি। সাংবাদিক মোকতাদির জবাবে জানান, বিচারক নির্দেশ দিলে তিনি বের হবেন।
এরপরই বিচারক এজলাসে প্রবেশ করে মামলার শুনানি শুরু করলে সময় টিভির সাংবাদিক আসিফ মোহাম্মদ সিয়াম এগিয়ে এসে মহিউদ্দিনকে জানান, ওই ব্যক্তি বহিরাগত নন, সাংবাদিক। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আইনজীবী মহিউদ্দিন সাংবাদিক সিয়ামের কানে ঘুষি মারেন। পর মুহূর্তে আরও কয়েকজন আইনজীবী যোগ দিয়ে তাকে টেনে বাইরে এনে বেধড়ক মারধর করেন। এতে সিয়াম রক্তাক্ত হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল
ঘটনার সময় বিচারক পরিস্থিতি দেখে খাসকামড়ায় চলে যান। পরে প্রসিকিউশনের আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়ন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে সাক্ষীর কাঠগড়ায় নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক সিয়াম বলেন, “কোনো কারণ ছাড়াই বিচারকের সামনে আইনজীবীরা আমাকে মব তৈরি করে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।”
এ ঘটনায় উপস্থিত সাংবাদিক মোকতাদির রশীদও অভিযোগ করেন, তাকে আদালত থেকে বের করে দিতে আইনজীবী মহিউদ্দিন হুমকি দেন এবং অশ্রাব্য গালাগাল করেন।
পরে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে আদালত পুনরায় বসে লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্নার জামিন আবেদন নাকচ করে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি অনুষ্ঠান থেকে লতিফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক পান্নাসহ ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্য দিবালোকে সাংবাদিকের ওপর এমন হামলার ঘটনায় সাংবাদিক মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আপনি কি চান আমি এই সংবাদটির জন্য একটি শিরোনাম ও সংক্ষিপ্ত লিড বানিয়ে দিই, যেন প্রকাশযোগ্য হয়ে যায়?





