এমপি আনার হত্যা

শাহীনের বাসা থেকে দুটি গাড়ি জব্দ

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, ১১ জুন ২০২৪ | আপডেট: ৯:২২ পূর্বাহ্ন, ১১ জুন ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত আক্তারুজ্জামান শাহীনের একটি সাদা রঙের প্রাডো মডেলের গাড়ি ও অন্যটি মাইক্রোবাস জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর গুলশানে শাহীনের ভাড়া বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৮ জুন বিকেলে শাহীনের গুলশানের ওই ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় গাড়িগুলো জব্দ করে ডিবি। এরমধ্যে একটি সাদা রঙের প্রাডো মডেলের গাড়ি ও অন্যটি মাইক্রোবাস ছিল।

আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল

ওই ভবনের এক বাসিন্দার গাড়িচালক আবদুল খালেক গণমাধ্যমকে বলেন, দেড় বছর আগে ওই বাসার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেন শাহীন। শনিবার বাসার নিচতলার গ্যারেজ থেকে শাহীনের দুটি গাড়ি জব্দ করে নিয়ে যায় পুলিশ। ঢাকায় থাকলে গাড়ি দুটি ব্যবহার করতেন তিনি।

গত ১৩ মে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে খুন হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনার। এ ঘটনায় ১২ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ডিবি। এরমধ্যে বাংলাদেশে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া, সিলিস্তি রহমান ও কাজী কামাল ওরফে গ্যাস বাবু। এর মধ্যে প্রথম তিনজন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

অন্যদিকে নেপালে গ্রেপ্তার করা হয় আসামি মো. সিয়াম হোসেনকে। বর্তমানে তিনি কলকাতা পুলিশের হেফাজতে। আরেক আসামি কসাই নামে পরিচিত জিহাদ হাওলাদারও কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। পলাতক আসামিরা হলেন আক্তারুজ্জামান শাহীন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজি ও মো. জামাল হোসেন। এরমধ্যে খুনের মূল পরিকল্পনাকারী শাহীন গত ২০ মে ঢাকা থেকে প্রথমে দিল্লি যান। সেখান থেকে নেপাল, তারপর দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম। পরে জানা যায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীভা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়।

পরে গ্রেপ্তারদের তথ্যের ভিত্তিতে সঞ্জীভা আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংসের টুকরো এবং কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খাল থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। তবে সেগুলো আনারের কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ডিএনএ পরীক্ষার পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।