আবু সাঈদের বাবা গুরুতর অসুস্থ, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে এনে সিএমএইচ এ চিকিৎসা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদের অসুস্থ বাবা মকবুল হোসেন গুরুতর অসুস্থ। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আনা হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) হেলিকপ্টার করে তাকে ঢাকার সিএমএইচে আনা হয় বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানায় সেনাবাহিনী।
জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর মকবুল হোসেন জ্বর এবং পেটের পীড়া নিয়ে রংপুর সিএমএইচে ভর্তি হন। পরবর্তীতে মঙ্গলবার বেলা ৩টায় হৃদযন্ত্রের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আর্মি অ্যাম্বুলেন্স যোগে রংপুর মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ আবু সাঈদের বাবাকে গতকাল রাতে আর্মি হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর
পারিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মকবুল হোসেনের হৃদরোগ, কিডনিসহ নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ১৬ জুলাই গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তিনি আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্তে সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের ব্যাংক হিসাব তলব
পুলিশের বন্দুকের সামনে দুহাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে থাকা সাঈদকে গুলি করার ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সারা দেশে আন্দোলন জোরদার হয়। একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে।
৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার দুদিন পর রংপুরে যান নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করেন এবং স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর ঢাকায় এসে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন মকবুল হোসেন ও আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা।
