পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ নতুন করে তদন্ত করছে দুদক

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ন, ০১ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৭ অপরাহ্ন, ০২ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মোমেন।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে প্রধান উপদেষ্টার দোয়া কামনা

চেয়ারম্যান বলেন, “২০১৪ সালে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন কমিশন গায়ের জোরে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া নতুন অনুসন্ধানে পরামর্শক নিয়োগে স্পষ্ট অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র পাওয়া গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ মামলায় কারো দায় থাকলে, সে যত প্রভাবশালী হোক না কেন, আইনের আওতায় আনা হবে। এমনকি, তৎকালীন দুদক কমিশনের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: আমিরাতে বন্দি বাকি ২৪ বাংলাদেশি অচিরেই মুক্তি পাচ্ছেন

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে জটিলতার মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুদক। তবে ২০১৪ সালে বদিউজ্জামান ও শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নেতৃত্বাধীন কমিশন রহস্যজনকভাবে মামলাটি পরিসমাপ্তি করে দেয়।

নতুন অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তৎকালীন সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টদের নথিপত্র দুদকের হাতে এসেছে। গঠিত হয়েছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটিও।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা তথ্যভিত্তিক, নিরপেক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছি। কেউ ছাড় পাবে না।”