বাংলাদেশ থেকে জাপানে ১ লাখ দক্ষ কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা
বাংলাদেশ থেকে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ দক্ষ কর্মী জাপানে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জাপানি ব্যবসায়িক ফেডারেশন ‘ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কোঅপারেটিভস’ (এনবিসিসি)।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রবিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এনবিসিসি’র ২৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওসমান হাদির শুটারদের নিয়ে পুলিশ অন্ধকারে
এফএমওআই চুক্তির লক্ষ্য হলো জাপানে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেশন এবং কর্মসংস্থানের জন্য কাঠামো তৈরি করা। এর আওতায় টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (টিআইটিপি) এবং স্পেসিফাইড স্কিলড ওয়ার্কার্স (এসএসডব্লিউও) প্রোগ্রামের মাধ্যমে এক লাখের বেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, প্রথম ধাপে আগামী বছর দুই হাজার কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। পরবর্তী ধাপে ২০২৭ সালে ছয় হাজার ও ২০২৮ সালে ১৮ হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালতে ফয়সালের স্ত্রীর জবানবন্দি, হত্যাচেষ্টা মামলায় নতুন তথ্য
নির্দিষ্ট খাতগুলো হলো: নির্মাণ, সেবা, এভিয়েশন, গার্মেন্টস ও কৃষি। এছাড়া গাড়িচালক, অটোমোবাইল ও রিসাইক্লিং খাতেও দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়বে।
প্রস্তুতি হিসেবে খুলনা ও গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে সম্ভাব্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এনবিসিসি প্রতিনিধি দলের প্রধান মিকিও কেসাগায়ামা প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “ভাষাগত দক্ষতার উন্নতি করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে। জাপান থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া বা প্রশিক্ষক আনা হতে পারে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের নারীরা কেয়ারগিভিং খাতে অনন্য। ভাষা ও অন্যান্য প্রশিক্ষণ পেলে তারা জাপানের সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। একবার প্রশিক্ষণ শুরু হলে অন্যরাও উৎসাহিত হবে।”
এনবিসিসি প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছরে জাপানে চার লাখের বেশি দক্ষ নার্সের প্রয়োজন হবে এবং বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নার্স নিয়োগের বিষয় বিবেচনা করা হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, সরকার জাপানে কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে।





