অভিনব কায়দায় অর্থ পাচারের অভিযোগ সায়মন ওভারসীজের বিরুদ্ধে

Sanchoy Biswas
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:৫৪ অপরাহ্ন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশে প্লেনের টিকিট সংকট ও নানা কেলেঙ্কারির মধ্যেই আবারও নতুন ধরনের অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে সায়মন ওভারসীজ লিমিটেড নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানের গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (জিডিএস) আইডি ব্যবহার করে দেশের বাইরে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ১৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য মিলেছে। বিষয়টি তদন্তে নেমেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, সায়মন ওভারসীজ ঢাকায় তাদের নিজেদের জিডিএস আইডি ব্যবহার করে মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের এজেন্টদের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করছিল। গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১,৮৯৪টি এয়ার টিকিট বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব টিকিটের আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ১৬ কোটি টাকা। কিন্তু বিদেশে বিক্রি হওয়া এসব টিকিটের টাকা আর দেশে আসেনি—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: রিজওয়ানা হাসান তথ্য, আদিল এলজিআরডি ও আসিফ নজরুল যুব ও ক্রিয়ার দায়িত্বে

বিমান মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সায়মন ওভারসীজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসফিয়া জান্নাত সালেহ–এর কাছে ইতোমধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে তিন কর্মদিবসের মধ্যে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিডিএস আইডি বাংলাদেশ থেকেই পরিচালনা করার নিয়ম। ওই আইডির মাধ্যমে বিক্রি হওয়া টিকিটের অর্থ আইএটিএর মাধ্যমে এয়ারলাইনসে যায় এবং রেমিট্যান্স হিসেবে দেশের রিজার্ভে যুক্ত হয়। কিন্তু সায়মন ওভারসীজ নিজেদের আইডি বিদেশি এজেন্টদের দিয়ে বিদেশে টিকিট বিক্রি করাচ্ছিল। ফলে বিক্রির অর্থ আর দেশে ফেরত আসছে না—ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি অর্থ পাচারের শামিল।

আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনের পর পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি: রয়টার্স

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, আসফিয়া জান্নাত সালেহ ছিলেন ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন অ্যাটাব–এর সাবেক মহাসচিব। পদটির প্রভাব ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও টিকিট কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে সংগঠনের সভাপতি ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর মন্ত্রণালয় অ্যাটাব কমিটি বাতিল করে। এরপর থেকেই আসফিয়ার বিরুদ্ধে টিকিট প্রতারণা ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আরও দৃঢ় হয়।