পদত্যাগ করলেন এনসিপি নেত্রী শামীমা সুলতানা মায়া
কেন্দ্রীয় কমিটিতে লিখিত অভিযোগ করার পরও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় পদত্যাগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়ক শামীমা সুলতানা মায়া। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সাংবাদিকদের সামনে দলীয় প্রধানের কাছে পাঠানো তার পদত্যাগপত্র পড়ে শোনান তিনি।
পদত্যাগপত্রে মায়া উল্লেখ করেন, “আমি কাউকে আঘাত করতে চাই না কিংবা কোনো সরাসরি অভিযোগ তুলতে চাই না। তবে সত্য হলো আমি আমার বিবেক, সততা এবং নীতিকে কোনোভাবেই বিসর্জন দিতে চাই না।”
আরও পড়ুন: যারা ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয় : সালাম আজাদ
এর আগে গত আগস্টে তিনি বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করে দলীয় প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তবে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
শামীমা সুলতানা মায়া রাজশাহীর একজন নারী উদ্যোক্তা। এনসিপিতে পদ পাওয়ার পর তার কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে তৎকালীন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনীর সঙ্গে দেখা যায়। ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি থেকে এসব ছবি পোস্ট করে তাকে ‘আওয়ামী দোসর’ আখ্যা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি থেকে সাংবাদিকদের বেরিয়ে আসার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
অভিযোগপত্রে মায়া লিখেছিলেন, দলের পক্ষ থেকে কোনো সমর্থন ও সহযোগিতা না পাওয়ায় তিনি সামাজিক ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং এতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এছাড়া মহানগর কমিটি জেলা ও উপজেলা কমিটিকে নিয়ন্ত্রণ করছে, যার ফলে জেলা নেতারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেছিলেন, ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। এক মাস পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, “মিথ্যা অভিযোগ, বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা এবং নানামুখী কর্মকাণ্ডের কারণে আমি উপলব্ধি করেছি এই পদে থেকে আমার নীতিগত অবস্থান অটুট রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, এনসিপির রাজশাহী জেলা ও মহানগরের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নানা বিরোধ তৈরি হয়। গত জুনে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হাতাহাতির ঘটনা পর্যন্ত ঘটে, যা কেন্দ্রীয় পর্যায়েও আলোচনায় আসে।





