নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের পরই ভেঙে দেওয়া হলো পার্লামেন্ট
নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন। একই সঙ্গে আগামী বছরের মার্চে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
শপথ নেওয়ার পরপরই কার্কির নেতৃত্বে ছোট একটি মন্ত্রিসভার সরকার গঠিত হয়েছে, যার মেয়াদ থাকবে ছয় মাস। এই সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জার্মানির বার্লিনে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেলের দপ্তর থেকে জানানো হয়, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর কার্কির নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে চলা দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভকারীরাই তাকে অন্তর্বর্তী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তাব দেন।
গত সপ্তাহজুড়ে চলা বিক্ষোভে অন্তত ৫১ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত থেকেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও সহিংসতা বন্ধ হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩১০ বাংলাদেশি
উল্লেখ্য, সুশীলা কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। সততা, দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও দৃঢ়তার কারণে তিনি দেশটিতে ব্যাপকভাবে পরিচিত।





