পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ, চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজার মৃত্যু

Sanchoy Biswas
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ন, ০৯ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ৮:১৬ পূর্বাহ্ন, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ব্রাক্ষশাসন গ্রামে পুকুরে মাছ ধরা কে নিয়ে বিরোধে চাচা রুহুল আমিনের লাঠির আঘাতে মোহাম্মাদ আলী গাজীর ছেলে ভাইপো ইউনুচ গাজী (৪৫) এর মৃত্যু হয়েছে। 

জানাযায়, ৭ই মার্চ শুক্রবার বিকালে যৌথ মালিকানাধীন পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের সংঘর্ষের সময় চাচা রুহুল আমিনের লাঠির আঘাতে ভাতিজা ইউনুস গাজী গুরুতর আহত হয়। পরে তাহার আত্মীয়স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কত্যর্বরত চিকিৎসক ইউনুচ গাজীকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে ইউনুস গাজী মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করেন। 

আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত

নিহত ইউনুচ গাজীর ভাই খোকন গাজী জানান, রুহুল আমিন গাজী, আদম আলী গাজী এবং তার পিতা মোহাম্মদ আলী গাজীর একটি যৌথ মালিকানায় পুকুর আছে। বিগত দিনে তাহাদের ভিতর এই একই বিষয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে। শুক্রবার বিকালে তার ভাই ওই পুকুরে মাছ ধরতে গেলে তার চাচা রুহুল আমিন গাজী বাধা দেন। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে চাচা রুহুল আমিন গাজী লাঠি দিয়ে তার ভাই ইউনুচ গাজী(৪৫) এর ঘাড়ে ও মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এর পর তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু বরন করেন। এই ঘটনায় চাচা ইউনুচ সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। অভিযুক্ত রুহুল আমিনের সাথে এবিষয়ে জানতে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যাইনি।

এবিষয়ে শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আসামীরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ কাজ করছেন।

আরও পড়ুন: ‎পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার