কমলনগরে এক পরিবারকে উচ্ছেদ

ঘর দখল, স্বর্ণ অলংকারসহ মালামাল লুটের অভিযোগ

Sanchoy Biswas
কবির হোসেন রাকিব, কমলনগর
প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ন, ০৯ মে ২০২৫ | আপডেট: ১০:০৫ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

লক্ষীপুর কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া হাজিরহাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তাছলিমা নামের এক পরিবারের ঘরবাড়ি জোরপূর্বক দখল এবং স্বর্ণ অলংকার সহ মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে । এঘটনায় ওই পরিবারের পক্ষ থেকে তাছলিমা আক্তার ও তার ছেলে  সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, লাইজু আক্তার ও তার মেয়ে বৃষ্টি আক্তার, মারজাহান তার ভাই মো. সহেল, তার বাবা নুরুল নবী এবং বিবি খাতিজা, বিবি কমলা, রেজিয়া বেগম সহ ৪/৫ বহিরাগত লোক এনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে স্বর্ণ অলংকার, নগদ টাকা সহ ঘরের চেয়ার টেবিল ও প্রয়োজনীয় মালামাল এবং ঘরের টিন, ভেড়া রুয়া আদল জানালার গিরিল ও সিমেন্টের পালা সহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় এবং জায়গাটি দখলে নেয়।

আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে বিএনপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

বাদী তাছলিমা আক্তারের দাবি, তার স্বামী আব্দুর রহমান সবুজ আজ থেকে আরো ২২ বছর আগে তাছলিমাকে বিবাহ করেন, বিবাহর পরে তাছলিমার কাছ থেকে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তার স্বামী আব্দুর রহমান সবুজ এবং তাছলিমার সংসারে দুইটি মেয়ে ও একটি ছেলে আছে এর পরেও তার স্বামী তাকে না জানিয়ে আরেকটি বিবাহ করেন। তাছলিমাকে কোনো বরণ পোষণ না দিয়ে তার স্বামী সবুজ এই তিনটি ছেলে মেয়েকে নিয়ে অনাহারে জীবন যাপন করতেন। 

তাছলিমা পরে কোনো উপায় না পেয়ে গার্মেন্টস চাকরি করে ছেলে-মেয়েদের কে বড় করেন এবং তাদের কে পড়া-লেখা করান। একটা সময় করোনাকালীন তাছলিমার চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে উঠেন। এতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর পর থেকে তার শাশুড়ী ও ননদ তাদের কে প্রায় মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করে। পরে তাছলিমার স্বামীর কিছু সম্পত্তি ছিলো। সেখানে তাছলিমার ভাই ও বোনের কাছে থেকে ধারদেনা করে দুই লক্ষ টাকা এনে একটি টিনের ঘর তৈরী করে থাকেন এবং ওইখানে মেয়েকে বিবাহ দেওয়ার চিন্তা করে কিছু স্বর্ণঅলংকারও রাখেন। কিন্তু কিছু দিন থাকার পরে তার শাশুড়ি ও ননদ এবং ননদের মেয়ে বৃষ্টি সহ তাছলিমা ও তার ছেলে মেয়ে সবাইকে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন এবং তাদের নামে একটি মামলাও করেন। যাতে তারা বাড়িতে আর না আসতে পারে। এর কিছু দিন পরে সবাই মিলে ষড়যন্ত্র করে জমি বিক্রির নাম করে ঘরে থাকা স্বর্ণঅলংকার সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর কোথায় গেল?

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সমাজবাসী। এবং সমাজের এক দায়িত্বশীল সালিশদার বলেন “আমি নিজে তাদের এক সালিশে বসেছিলাম, কিন্তু বিবাদীরা খুব খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা এই সমাজের কোনো সালিশ মানেননি। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরি প্রয়োজন। তারা যে কাজ করেছে, তা অমানবিক ও অমানুষিক। আজ তার স্বামী সম্পদ থাকার পরেও ছেলে মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিছে দিন কাটাচ্ছে। এটা খুবই হৃদয়বিদারক।

এ বিষয়ে কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোহিদুল ইসলাম জানান, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।