বাবা-মা মিলেই পানিতে ফেলে হত্যা করে যমজ কন্যা শিশুদের

Sadek Ali
মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশিত: ১২:২০ অপরাহ্ন, ০৮ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৮:২০ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বাবা- মা মিলেই পানিতে ফেলে হত্যা করে তাদের যমজ কন্যা শিশুদের। প্রাথমিক তদন্তে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান শ্রীনগর থানা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান। তিনি মঙ্গলবার ( ৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বলেন, পানিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা যখন ঘটে তখন ওখানে স্বামী স্ত্রী ছাড়া তৃতীয় কোন ব্যক্তি ছিলোনা। 

স্থানীয় তদন্তে স্বামী স্ত্রী মিলেই যমজ দুই সন্তানকে পানিতে ফেলে মেরে ফেলার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে বের হয়ে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পরে রিমান্ড আবেদনসহ তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।

আরও পড়ুন: বাবা লেচু মিয়ার জনপ্রিয়তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দা আদিবা হোসেন

জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দী গ্রামের দিন মুজুর সোহাগ শেখের (২৮) সাথে প্রায় দুই বছর আগ উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের মজিদপুর দয়হাটা গ্রামের শাহ আলমর মেয়ে শান্তা (২৪) এর বিয়ে হয় । ৫ মাস আগে শান্তা যমজ কন্যা সন্তান প্রসব করে। যজম কন্যা সন্তান প্রসব বিষয়টি সাধারণভাবে মেনে নেয়নি সোহাগ শেখ। যমজ কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। শান্তা সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িত থাকলেও বেশ কয়েকদিন আগে স্বামীর বাড়িতে আসে। 

সোমবার রাত আটটার দিকে সোহাগের ঘর থেকে হট্টাগোলর শব্দ শুনে প্রতিবশীরা এগিয়ে এসে জানত পারেন তাদের দুই কন্যা লামিয়া ও সামিহাকে পার্শবর্তী পুকুরের পানিত ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা পুকুরে নেমে লামিয়া ও সামিহাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে সেখানে ছুটে যান তাদের ওই দুই কন্যার বাবা সোহাগও। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: বৃষ্টির অজুহাতে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ, লাপাত্তা ঠিকাদার

মৃত শিশুর বাবা দাবী, তার স্ত্রী এই ঘটনা ঘটিয়েছে অপরদিকে মায়ের দাবী তাদের বাবাই শিশু দুটিকে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ শিশু দুটির বাবা ও মা উভয়কে আটক করেছে।

স্থানীয়রা আরো জানায়, লামিয়া ও সামিহাকে উদ্ধারের পর তাদের মা শান্তা জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুদের বাবা সোহাগ শেখ তাদেরকে পুকুরের পানিত ফেলে দেয়। অপরদিক সোহাগ শেখের দাবী তার স্ত্রী শান্তাই এই কাজ করেছে। সোহাগ শেখের বাক প্রতিবন্ধী ভাই মামুন ইশারায় প্রত্যক্ষদর্শী দাবী করে অভিযাগের আঙ্গুল তোলেন ভাবী শান্তার দিকে।

উল্লেখ, সোমবার (৭ জূলাই) রাত আটটার দিক উপজলার বিবন্দি এলাকার একটি পুুকুর থেকে ৫ মাসের কন্যা লামিয়া ও সামিহাকে উদ্ধার কর শ্রীনগর উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদরক মৃত ঘোষণা করেন।