বাউফলে সংবাদ সম্মেলনে মাছের ঘের তৈরিতে বাধা ও জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

Sanchoy Biswas
মো. জসীম উদ্দিন বাউফল (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১০:২৭ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নূরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কের পাশে মাছের ঘের তৈরিতে বাধা ও দখলের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো. লাভু (৬৫) ও মো. জালাল খান (৭০) নামের দুই ব্যক্তি।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জমির পাশে সড়কের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় আয়ুব খানের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫) তাঁদের স্বজন হাসিনা বেগমের জমিতে মাছের ঘের তৈরিতে বাধা দিচ্ছেন ও দখলের চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পদ হারালেন পটুয়াখালী জেলা মহিলা দল সভাপতি আফরোজা সীমা

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাউফল মৌজার ১২০ নম্বর খতিয়ানের ৩৫, ৪৯, ৫১, ৩৬, ৪৮ ও ৫০—এই ছয়টি দাগের ৮৮ শতাংশ জমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক মোছা. হাসিনা বেগম ও তাঁর ভাতিজা মো. জহিরুল ইসলাম। এর অর্ধেক জমির মালিক হাসিনা বেগম। দীর্ঘ বছর ধরে দক্ষিণ পাশের অংশ হাসিনা বেগম ও লাগোয়া উত্তর পাশের ৪৪ শতাংশ জমি জহিরুল ভোগদখল করে আসছিলেন। হাসিনা বেগমের জমির লাগোয়া দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রায় পাঁচ বছর আগে বাউফল পৌরসভা একটি দৃষ্টিনন্দন সড়ক নির্মাণ করে। ওই জমিতে সম্প্রতি মাছের ঘের তৈরি করতে গেলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একই খতিয়ানের ও একই দাগের সমান অংশীদার হাসিনা বেগমের ভাতিজা জহিরুল তাতে বাধা দেন।

এ বিষয়ে জহিরুল ইসলাম বলেন, আগে সড়ক ছিল না, তখন ছিল বিল। তখনের হিসেব ছিল ভিন্ন। এখন যেহেতু সড়ক হয়েছে, তিনিও জমির সমান মালিক। তাই সড়কসংলগ্ন ২৫৭ ফুট লম্বা জমির তিনিও অর্ধেক মালিক। এ কারণে সঠিক বণ্টনের পর মাছের ঘের করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁর (হাসিনা বেগম) লোকজন তাঁর (জহিরুল) কথা কর্ণপাত করেননি। জোরপূর্বক মাটি খনন যন্ত্র দিয়ে মাছের ঘের তৈরি করেছেন। তিনি বাধা দেননি কিংবা দখলের চেষ্টাও করেননি। তিনি এখন আইনের আশ্রয় নেবেন।

আরও পড়ুন: কাপাসিয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত