ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপি নেতার সরকারি মার্কেট ভাঙচুর ও দখল

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাধীন মধুপুর বাজারে সরকারি মহিলা মার্কেটের দোকান ভাঙচুর এবং দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতা রিপনের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা রহমানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও রহস্যজনক কারণে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ২০০১-২০০৬ চার দলীয় জোট সরকারের আমলে তৎকালীন ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা আতাউল করিম রিপন দলীয় প্রভাবে তার স্ত্রী লুৎফুন্নাহার পান্নার নামে মধুপুর বাজারে সরকারি মহিলা বিপণী কেন্দ্রের এক নম্বর দোকানটি বরাদ্দ নেন। কিন্তু ২০২৪ সালের পাঁচ আগস্টে সরকার পরিবর্তন হলে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ওই নেতা। তার স্ত্রীর নামে বরাদ্দকৃত দোকান সংলগ্ন ১২ নম্বর দোকানটি ক্রয় করার পর প্রকাশ্যে বেআইনিভাবে ভিতরের দেয়াল ভেঙে সরকারি মূল কাঠামো পরিবর্তন করে দুটিকে একটি দোকানে রূপ দেন। এতে বাজারের ব্যবসায়ীসহ সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা রহমানের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরোধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর
স্থানীয় সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, লিখিত অভিযোগের পর সংশ্লিষ্ট এলজিইডি দপ্তর থেকে সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায় এবং এলজিইডির লোকজন উক্ত দোকানের ভিতরের চিত্র ধারণ করে নিয়ে গেলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রহস্যজনক কারণে এ পর্যন্ত কোনো রকম পদক্ষেপ বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। একাধিক সূত্র জানায়, তদন্তের পর গভীর রাতে বিএনপি নেতা রিপন দোকানের ভেঙে ফেলা দেয়াল নতুন করে গড়ে তুলেছেন। এ বিষয়ে সানজিদা রহমানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে অসংখ্যবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মফিদুল আলমকে বিষয়টি অবহিত করে তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
মধুপুর বাজারে সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বললে ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শাহীন গ্রুপের পদহীন বিএনপি নেতা রিপন ওই দোকানে বসে ব্যবসার পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে থাকেন। তারা আরো জানান, পাঁচ আগস্টের পর বিএনপির তথাকথিত নেতা রিপন বিভিন্ন অপকর্মকাণ্ড করেছেন। তার কর্মকাণ্ডে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে এবং তার ভয়ে ব্যবসায়ীরাসহ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: নাসিরনগরে বিএনপির উদ্যোগে দলের জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন