খুনের শহর বগুড়ায় আবারও রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা
খুনের শহর বগুড়ায় আবারও রামদা দিয়ে কুপিয়ে এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে আরেক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার সময় শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দিরের সামনে।
উক্ত নিহত ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান খোকন (৩৭)। তিনি শহরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে। অপরদিকে গুরুতর আহত বাঁধন (২৬) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গত রবিবার রাতে সেউজগাড়ী এলাকায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
আরও পড়ুন: নাসিরনগরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিবাগত রাত ৮টার সময় ইসকন মন্দিরের সামনে হঠাৎ চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তারা এসে দেখে, অন্ধকারে কয়েকজন অজ্ঞাত যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুইজন যুবককে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা দুইজন যুবককে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন।
অতঃপর ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলের সামনে আইনজীবী স্টিকার লাগানো ছিল। জানা যায়, আহত দুইজন যুবক ছাড়াও আরও ১০–১২ জন যুবক বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে খান্দার এলাকা থেকে সেউজগাড়ী হয়ে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কিছু যুবক তাদের মোটরসাইকেল বহর থেকে দুইজনকে ধরে ইসকন মন্দিরের দিকে অন্ধকারে নিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় পল্টন হত্যা দিবস উপলক্ষে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল
এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। অপরজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি, মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল ইউনিট দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।





