ওসমান হাদির বোনের বিস্ফোরক অভিযোগ, ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ঢামেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে তার জরুরি অস্ত্রোপচার চলছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, তার মস্তিষ্কে গুলি রয়েছে এবং তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
এদিকে, হামলার ঘটনার পর ওসমান হাদির বোন মাহফুজা ঝালকাঠিতে সাংবাদিকদের কাছে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেন, “ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ আমার ভাইকে বাঁচতে দেবে না। যারা আমার ভাইকে গুলি করেছে আমরা তাদের বিচার চাই।”
আরও পড়ুন: নরসিংদী-১ আসনে এনসিপি'র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল-ফয়সালের প্রচারণা
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আমার ভাই বাংলাদেশপন্থী লেখা লেখে, ভারতবিরোধী কথা বলে। তাকে বাংলাদেশে আর রাখব না, দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেব। ভারতের ‘র’ আর আওয়ামী লীগ তাকে বাঁচতে দেবে না।”
ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে জুলাই আন্দোলনের সমমনা সংগঠনগুলো সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি এবং গণঅধিকার পরিষদের কর্মীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: মোমেন খান দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন: মঈন খান
অবরোধকারীরা জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তাদের অভিযোগ—এটি পরিকল্পিত হামলা এবং দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।
এনসিপির ঝালকাঠি জেলা সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না বলেন, “হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হলে শনিবার বিকেল ৪টায় কলেজ মোড় এলাকায় আবার সড়ক অবরোধ করা হবে। জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আজকের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।”
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় হাদির ওপর গুলি চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, জুমার নামাজ শেষে মতিঝিল দিক থেকে একটি কালো মোটরসাইকেলে দুজন আসে এবং পেছনে বসা ব্যক্তি খুব কাছ থেকে হাদির মাথায় গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এরপর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি প্রায় ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন বলে হাদি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুন দেওয়া এবং তার মা–বোন–স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।





