ধোঁয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন সিইপিজেড, একের পর এক বিস্ফোরণ

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৮ অপরাহ্ন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩৮ অপরাহ্ন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় একটি কারখানায় আগুন পাঁচ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুরো ভবন অগ্নিগর্ভ হয়ে গেছে এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। কেমিক্যাল থাকার কারণে মাঝে-মধ্যে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

আগুন লাগার খবর পাওয়ার মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী। বর্তমানে ২১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুন দেখতে উৎসুক জনতা ভবনটির আশপাশে ভিড় করছে, যা নিয়ন্ত্রণ কাজকে জটিল করছে।

আরও পড়ুন: আরও তীব্র হয়েছে চট্টগ্রামের ইপিজেডে আগুন, আশপাশের ভবন রক্ষায় হিমশিম ফায়ার সার্ভিস

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৭টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ৯ তলা বিশিষ্ট কারখানার সপ্তম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার সময় আগুন চারতলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, সিইপিজেডের ৫ নম্বর রোডে অবস্থিত ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ কারখানার সপ্তম তলায় আগুন লাগে। এটি দেশি-বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন: এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, যোগ দিয়েছে সেনা ও নৌবাহিনী

এ কারখানায় রেইনকোট, মেডিকেল এক্সেসরিজসহ বিভিন্ন ধরনের রপ্তানি পণ্য তৈরি করা হয়। কারখানার একপাশে পেনিনসুলা ও অন্য পাশে স্মার্ট জ্যাকেট নামে দুটি পোশাক কারখানা রয়েছে।

আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে কর্মরত পাঁচ শতাধিক শ্রমিক দ্রুত নিচে নেমে যান। প্রথমে কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, পরে ৯৯৯-এ ফোন করে ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করা হয়। বিকাল ৩টার পরপরই ইপিজেড ও আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন স্থান থেকে একে একে ২১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও নৌ ও বিমানবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, ১৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। কোনো হতাহতের খবর নেই। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আশপাশের কারখানায় আগুন ছড়িয়ে না পড়ার জন্যও চেষ্টা করছেন।