লিবিয়ায় আট‌কেপড়া ১৫১ বাংলাদেশি দে‌শে ফি‌রে‌ছেন

বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:১১ অপরাহ্ন, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

লিবিয়ার বেনগাজি শহরের গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটকসহ সেখানে বিপদগ্রস্ত ১৫১ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকা‌লে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তারা দে‌শে আসেন।

ত্রিপলীর বাংলা‌দেশ দূতাবা‌সের তথ্য বল‌ছে, দূতাবা‌সের প্রচেষ্টায় ১৫১ বাংলা‌দে‌শি নাগ‌রিক‌কে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহ‌যো‌গিতায় সোমবার (৪‌ সেপ্টেম্বর) ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজদের হুঁশিয়ারি আইজিপির

লি‌বিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসান মোহাম্মদ খায়রুল বাশার প্রত্যাবাসনকৃত অভিবাসীদের সঙ্গে বেনগাজীর বেনিনা বিমানবন্দরে সাক্ষাৎ করে তাদেরকে বিদায় জানান। 

এ সময় রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করেন। বিশেষ করে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের অধিকার সুরক্ষা, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর প্রণোদনা প্রদান এবং প্রবাসীদেরকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার বিষয়টি জানান। এছাড়াও রাষ্ট্রদূত অবৈধ অভিবাসনের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ দিক তুলে ধরে তাদেরকে ভবিষ্যতে এরূপ পথ পরিহার করার উপদেশ দেন এবং অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: রমজানে প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন

দূতাবাস জানায়, স্বেচ্ছায় দেশে গমনের জন্য আগ্রহী প্রবাসীদের নিবন্ধন পূর্বক পর্যায়ক্রমে তাদেরকে আইওএম’র সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। অন্যদিকে ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎপূর্বক তাদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়। পরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আইওএম’র সহযোগিতায় তাদেরকে বিনা খরচে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলী হতে ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৩১ জন বাংলাদেশিকে মুক্ত করে আইওএম’র সহযোগিতায় দেশে পাঠানো হয়।