সরকার বোঝার আগেই পেঁয়াজের দাম লাগামছাড়া

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, ২০ মে ২০২৩ | আপডেট: ৬:১৮ পূর্বাহ্ন, ২০ মে ২০২৩
ছবি : ইন্টারনেট
ছবি : ইন্টারনেট

গেল ঈদের সপ্তাহ দুয়েক আগে সারাদেশে পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা দাম ছিল ৩০ টাকা কেজি। ঈদের কাছাকাছি সময়ে সেই দাম বাড়তে থাকে। ঈদের পর এ মসলা যেন ঘোড়ায় চেয়েছিল; পর্যায়ক্রমে দাম বেড়ে ঠেকে পঞ্চাশে। তখন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বলেন, ‘সরকার বাজার বোঝার চেষ্টা করছে। দ্রুতই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এরপরই পেঁয়াজের দাম ছুটছে ‘রকেট গতি’ নিয়ে। দাম এখন ৮০ থেকে ৯০ টাকা প্রতি কেজি।

সরকার বলেছিল, বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনে আমদানির অনুমিত দেওয়া হবে। এরপর ১০ দিন চলে গেলেও মন্ত্রণালয় আলোচনায় বসতে পারেনি। তাতে কিন্তু পেঁয়াজের দাম থেমে থাকেনি।

আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা

সরকারি বিপণন সংস্থা টিবিসির হিসাবে এক মাস আগে খুচরায় দেশি পেঁয়াজের দর ছিল ৩০ টাকা। সরকার প্রথম যখন আমদানির কথা বলেছিল, তখন দাম ছিল ৫০ টাকার ঘরে। এখন তা বড় বাজারে ছুঁয়েছে ৮০ টাকা, এলাকার দোকানে ৯০।

দেশের বাজারে শুধু এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা। অথচ প্রতিবেশী ভারতে এই টাকায় মিলছে ৫ কেজিরও বেশি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত

দেশটির বিভিন্ন বাণিজ্যিক পোর্টালে দেখা যাচ্ছে, সেখানে মান ও জাতভেদে কেজিপ্রতি দাম ৫ থেকে ১২ রুপি। বাংলাদেশি টাকায় তা ৭ থেকে ১৫ টাকা।

আমদানি করলে ৩০ টাকার মধ্যে এসব পেঁয়াজ ভোক্তার হাতে তুলে দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা, আমদানি-এই তিন বিষয়ে সরকারের যে পরিসংখ্যান, তার সঙ্গে বাজারের আচরণের যুক্তি মেলে না।

রাজধানীর মৌলভীবাজারে পেঁয়াজের আড়ৎদার আব্দুল মাজেদ মনে করেন, মজুতদারির কারণেই বছরের এ সময়ে বাজার এভাবে চড়েছে। তার মতে, বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে কারণে দাম বেড়েছে।

তিনি বলেন, মজুদ সংকটের কারণে দাম বাড়লে সেটা মৌসুমের শেষ দিকে হওয়ার কথা; এই সময়ে নয়। এক শ্রেণির মহাজন বা মজুতদার পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নিজেদের মত করে দাম বাড়াচ্ছে। যেসব বড় বড় চাষি সংরক্ষণের পদ্ধতি নির্মাণ করেছেন, তারাও এখন বাজারের সুবিধাটি পাচ্ছেন।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) মুখপাত্র মো. আব্দুল হান্নান বলেন, চলতি বছর পেঁয়াজের খুব ভালো ফলন হয়েছে। মার্কেটে কিছু নতুন পাইকার ঢুকে পড়ায় পরিস্থিতি অনেকটা জটিল হয়ে গেছে। উত্তোলন মৌসুম শেষ হতেই বড় ব্যবসায়ীরা কৃষকদের থেকে পেঁয়াজ কিনতে শুরু করেন। যার কারণে অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়েছে এবং দাম গেছে বেড়ে।