রমজানের আগেই পণ্যের দাম বৃদ্ধি

বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:১৯ অপরাহ্ন, ১০ জানুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ৬:১৯ পূর্বাহ্ন, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র রমজানে চাহিদাসম্পন্ন নিত্যপণ্য ছোলা, মুড়ি, ডাল, বেসন, খেজুরসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। ছোলা খুচরায় কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং ছোলার ডাল, খেসারির ডাল, মুগ ডাল ও বেসনের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, এলসি জটিলতাসহ নানা কারণে এবার আমদানি ব্যয় বেশি। এতে আমদানি করা এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।

আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সাধারণত রমজানের দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে খুচরা বিক্রেতারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। এখন থেকেই পাইকারি বিক্রেতারা রোজার সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

মাসখানেক আগেও প্রতি কেজি ছোলার দাম ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। ছোলার ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। খুচরায় খেসারির ডাল প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগেও ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি। এক মাসের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মুগ ডালের।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত

কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘প্রতিবছরই রোজা শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে বিভিন্ন অজুহাতে ছোলাসহ রোজার বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা, যাতে রোজার সময় প্রশাসনের চাপে বাধ্য হয়ে কমিয়ে দিলেও আশানুরূপ লাভ থাকে।’

খুচরা বাজারে জাতভেদে সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। দাবাস ও তিউনিসিয়ান জাতের মতো সাধারণ মানের খেজুরের কেজি এখন ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আজোয়া খেজুর মানভেদে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি দরে।

বাদামতলী ফল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মোল্লা ফ্রেশ ফ্রুটসের মালিক মো. আল-আমিন মোল্লা বলেন, ‘বিশ্ববাজারে খেজুরের দাম না বাড়লেও ঋণপত্র (এলসি) খোলায় জটিলতা, আমদানি শুল্ক ব্যাপক হারে বৃদ্ধি ও ডলারের সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে খেজুর আমদানিতে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। যার ফলে দেশের বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর।’

ছোলা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বলেন, ‘দেশে সবচেয়ে বেশি ছোলা আমদানি হয় অস্ট্রেলিয়া থেকে। সেখানে এখন ছোলার মৌসুম শুরু হয়েছে। আমরাও সবেমাত্র ঋণপত্র খুলতে শুরু করেছি। এখন অল্পস্বল্প ছোলা আমদানি হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে দেশের সমুদ্রবন্দর দিয়ে বেশির ভাগ ছোলা আসবে।’