মাছ-মাংসের বাজারে অস্বস্তি, বিক্রেতাদের ‌অজুহাত বন্যার

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৭ অপরাহ্ন, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে যেন স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই। একদিকে দাম কমলে অন্যদিকে শুরু হয় বাড়ানোর পাঁয়তারা। দ্রব্যমূল্য নিয়ে বরাবরই ভোক্তাদের অভিযোগ থাকলেও নানা অজুহাত নিয়ে বিক্রেতারাও থাকেন সদা প্রস্তুত।

গত সপ্তাহেও বাজারে মাছ-মাংসের দাম কিছুটা কম ছিল। কিন্তু কয়েকদিনের ব্যবধানে আজ বাজারে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি।

আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা করে, যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, সম্প্রতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসল, মাছ ও মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। ফলে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।

বাজার দেখা যায়, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। খাসির মাংস ১০৫০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত

অন্যদিকে মাছের বাজারে পাঙাশ, তেলাপিয়া ছাড়া আর কোনো মাছেই তেমন স্বস্তির খবর পাওয়া যায়নি। বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ ১৭০-১৮০ টাকা তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৭০ টাকা, কার্প জাতীয় মাছ ৩০০ টাকা, চাষের শিং ৩৫০-৪০০ টাকা, সাগরের পোয়া ৪০০-৬৫০ টাকা ও বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকায়।

মধ্যবাড্ডা এলাকার গরুর মাংস বিক্রেতা শান্ত মিয়া বলেন, আজকের বাজারে গুরুর মাংস বিক্রি করছি ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা। কলিজা বিক্রি করছি ৭৮০ টাকা করে। এছাড়াও গরুর পায়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জোড়া। তবে কেউ কেউ ৭৫০ টাকায়ও বিক্রি করছে। বিষয়টা আসলে নির্ভর করে মাংসের মানের ওপর।

এদিকে মুরগির মাংস বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, গত কয়েকদিনে তুলনায় আজ ব্রয়লার মুরগির দামটা একটু বেশি। গত সপ্তাহেও ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজকে ১৮০ টাকা। বাজারে মুরগির চাহিদা বেশি, কিন্তু সে অনুযায়ী সাপ্লাই নেই। শুনেছি বন্যার কারণে অনেক খামারির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যে কারণে সেই চাপটা এসে পড়েছে বাজারে।

তিনি আরও বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাংসের চাহিদাটা একটু বেড়ে যায়। বাজারে যদি সেই পরিমাণে সরবরাহ না থাকে তাহলেই দাম বেড়ে যায়। এখানে আমাদের কিছুই করার থাকে না।

বাজার করতে আসা মাহমুদুল হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়েনি। ২টা টিউশনি করিয়ে আগে যা পেতাম, এখনো তাই পাই। কিন্তু যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো মানুষদের কিছুই কিনে খাওয়ার উপায় নেই।