বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থানে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৪৭ অপরাহ্ন, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৩৭ অপরাহ্ন, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের নিম্নআয়ের তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থান বাড়াতে ১৫০ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার (১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার) অতিরিক্ত অর্থায়ন অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই অর্থায়নের মাধ্যমে বিশেষভাবে নারী এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এ অর্থায়ন ‘রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অফ ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট’ (RAISE) প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আগে নির্ধারিত ২ লাখ ৩৩ হাজার সুবিধাভোগীর পাশাপাশি আরও ১ লাখ ৭৬ হাজার তরুণ এই প্রকল্পের সহায়তা পাবেন।

আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস

প্রকল্পের আওতায় অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন সহায়তা এবং ক্ষুদ্রঋণ সুবিধা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এসব উদ্যোগ তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং কর্মসংস্থানের পথে বিদ্যমান বাধা দূর করতে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে উন্নত শিশু যত্ন কেন্দ্র (চাইল্ড কেয়ার) স্থাপন এবং জলবায়ু সহনশীল জীবিকা নির্বাহে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর গেল মার্টিন বলেন, একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সমাজকে বদলে দিতে পারে। প্রতি বছর বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করলেও অনেকেই কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থান পাচ্ছে না। এই অতিরিক্ত অর্থায়ন নিম্নআয়ের পরিবারের তরুণদের, বিশেষ করে নারীদের বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় সম্পদ অর্জনে সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন: খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমাল সরকার

প্রকল্পের টিম লিডার অনিকা রহমান বলেন, RAISE প্রকল্প ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনতে পারে। নতুন এই অর্থায়নের মাধ্যমে মানসম্মত শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান যুক্ত করা হচ্ছে, যা নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ বাড়াতে সহায়ক হবে।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, প্রকল্পটি শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ পর্যায়েও সম্প্রসারণ করা হবে। বিশেষ করে বাড়িভিত্তিক মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্ন সেবা চালুর লক্ষ্যে নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্ট-আপ অনুদান দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে একদিকে নারীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও বিকাশেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের সংযোগ স্থাপনে জব ফেয়ার বা চাকরি মেলার আয়োজন করা হবে।

২০২১ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের ফলাফল ইতোমধ্যেই আশাব্যঞ্জক। প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশদের ৮০ শতাংশেরও বেশি কোর্স শেষ করার তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান পেয়েছেন। এ পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি করোনা-ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি বিদেশফেরত অভিবাসীকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হয়েছে।