চাকসু নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করলো ছাত্রদল

আগামী ১৫ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। চাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ বুধবার (৮ই অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ। ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের হয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, জিএস পদপ্রার্থী মোঃ শাফায়াত হোসেন ও এজিএস পদপ্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।
৮টি বিষয়ের উপর জোর দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। এগুলো হলো— শিক্ষা ও গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আধুনিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলা, মানসম্মত খাদ্য ও আবাসনের অধিকার নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস ও নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা, পরিবহন ব্যবস্থার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম সমৃদ্ধ করা এবং ক্যারিয়ার গঠনে দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।
আরও পড়ুন: ‘জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি প্রদান, আজীবন ভাতার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ
নানা সমস্যায় জর্জরিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেই সকল সমস্যার উপর গুরুত্বারোপ করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠবে আধুনিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব— এমনটাই মনে করছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। এ নিয়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা’ হিসেবে খ্যাত ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, “আমাদের সমস্যার সংখ্যা অনেক। চাইলেই রাতারাতি সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি এবং এক বছর কার্যকালের মধ্যে যতটুকু সম্ভব সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সবসময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য সোচ্চার ছিল। আমরা কখনো ছাত্রদলের জন্য হামলা কিংবা মামলার শিকার হইনি। আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকারের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বারবার হামলার শিকার হয়েছি, মামলার শিকার হয়েছি। আগামীতেও আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকব এবং সেক্ষেত্রে যদি আমাদের দল বাধা হয়ে দাঁড়ায়, দলের বাইরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাতারে গিয়ে দাঁড়াব।”