ডাকসু তহবিলের হিসাব দিতে পারছে না ঢাবি প্রশাসন: সাদিক কায়েম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম অভিযোগ করেছেন, গত ৩৫ বছরে ডাকসুর আয়-ব্যয়ের কোনো পূর্ণাঙ্গ হিসাব দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার দাবি, ১৯৯০ সাল থেকে প্রতিবছর নবীন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ডাকসুর জন্য এককালীন ফি নেওয়া হলেও এর অর্থ কোথায় ব্যয় হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তিন সপ্তাহ আগে চিঠি দিয়ে ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এবং ২০১৯ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত সময়ের অডিটসহ সব হিসাব চেয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।”
আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদীকে দেখতে হাসপাতালে ঢাবি ভিসি
তিনি আরও জানান, ডাকসুর দীর্ঘ অকার্যকর সময়ের কারণে সাংগঠনিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কাছে আমরা লিখিতভাবে আবারও হিসাব চেয়েছি। এবারও না পেলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা অবস্থান কর্মসূচিতে যাব, বলেন তিনি।
ভিপি সাদিক কায়েম সতর্ক করে বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের কল্যাণের জন্য যে টাকা দিয়েছে, তা অন্য খাতে ব্যবহার করা হলে প্রশাসনকে তার জবাবদিহি করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেব।
আরও পড়ুন: ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন সাদিক কায়েম
তিনি আরও জানান, প্রতিটি হল সংসদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হচ্ছে। “আগামী রবিবার আমরা ট্রেজারার ও উপাচার্যের সঙ্গে আবার বৈঠক করব। আমাদের দাবি একটাই—শিক্ষার্থীদের দেওয়া ডাকসুর টাকা ডাকসুর হিসাবেই ফেরত আসতে হবে, বলেন তিনি।
প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগও করেন এই ছাত্রনেতা। “বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের কাজে বাধা দিচ্ছেন,” অভিযোগ করে সাদিক কায়েম বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। তাই তাদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”





