পাকিস্তানি বাহিনীর বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিষয়টি অবান্তর: চবি উপ-উপাচার্য

Sanchoy Biswas
মো. সাবিত বিন নাছিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ন, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:১৪ পূর্বাহ্ন, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পাকিস্তানি বাহিনীর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করার বিষয়টি অবান্তর বলে মন্তব্য করেন। তার এই বক্তব্যকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্মানের প্রতি অবমাননাকর মনে করে, ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুসদের ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমীন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের বক্তব্যের বিরোধিতা করে গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও রাজাকার, আলবদর, আলশামস দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে যখন দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী বুঝতে পারে যে তাদের পরাজয় অনিবার্য, তখন তারা জাতির বরেণ্য সন্তানদের হত্যা করেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার অভিপ্রায়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ সহ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ দফা দাবি

এ বিষয়ে চাকসুর এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিক বলেন, উনি (অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান) যখন বক্তব্য শুরু করেন তখন থেকেই এটি যে একটি আলোচনা সভা সেটা মনে হয়নি, উনি অত্যান্ত উত্তেজিত স্বরে একজন রাজনৈতিক নেতা যেভাবে বক্তব্য দেয় সেভাবে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। এবং উনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর যে বক্তব্য দিয়েছেন এটার সাথে শিক্ষার্থীদের একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমি একমত নই। তাৎক্ষণিকভাবে আমি প্রতিবাদ জানাতাম কিন্তু সভার মর্যাদা রক্ষার্থে আমি হট্টগোল তৈরি করতে চাইনি। কিন্তু সভা শেষে এর ব্যাখ্যা আমি উপস্থিত সবার কাছে চেয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি উনার বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহবান করছি।   

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দীন মহসিন বলেন, উপ-উপাচার্য শামীম উদ্দিনের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কে নিয়ে বিরূপ বক্তব্য কেবল শহীদ বুদ্ধিজীবীদেরকেই ছোট করেনি বরং গোটা বাংলাদেশের মানুষের আবেগে আঘাত করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যারা অস্বীকার করে তারা কখনো বাংলাদেশের কল্যাণ চাইতে পারে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ে ডাকসুর মার্চ