চলতি বছরের জুনে করোনায় ২২ এবং ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৪ অপরাহ্ন, ০১ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৯:১৪ পূর্বাহ্ন, ০১ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি বছরের জুনে হঠাৎ করেই করোনা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, জুন মাসে করোনায় ২২ জন এবং ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছরে এক মাসে সর্বোচ্চ।

আরও পড়ুন: ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল ও ভ্যাট ফোরামের স্বাস্থ্যচুক্তি

চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৬১ জন হাসপাতালে, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জনের মৃত্যু এবং ৩৭৪ জন হাসপাতালে, মার্চে কারও মৃত্যু হলেও ৩৩৬ জন হাসপাতালে, এপ্রিলে ৭ জনের মৃত্যু এবং  ৭০১ জন হাসপাতালে, মে মাসে ৩ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৭৭৩ জন হাসপাতালে, জুনে সর্বোচ্চ ১৯ জনের এবং ৫ হাজার ৯৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

সবমিলিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ২৯৬ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৭ জন। মারা গেছেন ৪২ জন।

আরও পড়ুন: দাম কমালো অতিপ্রয়োজনীয় ৩৩টি ওষুধের

এদিকে, পাঁচ বছর আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাস ফের নতুন রূপে ফিরে আসছে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও বেড়েছে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) পরিচালিত সর্বশেষ কোভিড-১৯ সার্ভিলেন্স ‘ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা সার্ভিলেন্স ও পিএইচওসি’ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের মে থেকে দেশে করোনা সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে শুরু করেছে।

জুন মাসে ১ হাজার ৪০৯ জন সম্ভাব্য কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৩৪ জন পজিটিভ শনাক্ত হন, যা পরীক্ষার ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। এটি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মে সময়কালে সর্বোচ্চ হার। এর আগে ২০২৩ সালের মে-আগস্ট এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারি-আগস্টে সংক্রমণের হার ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি।

জুন মাসের প্রথম ১০ দিনে ১৪টি জিনোম সিকুয়েন্স করা হয়। এর মধ্যে ১২টিতেই এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যা ওমিক্রন জেএন.১-এর একটি উপশাখা। সম্প্রতি যেসব নমুনা পাওয়া যাচ্ছে, এর প্রায় সবকটিতে এক্সএফজি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিবৃতি থেকে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছর মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৯ জন এবং এ যাবত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫২ হাজার ১১৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। চলতি বছরে করোনায় মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে করোনায় মারা যাওয়া ২২ জনই জুন মাসে মারা যান। দেশে এযাবৎ করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের।

চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন এই ধরনটির সংক্রামিত করার ক্ষমতা বেশি হলেও রোগের তীব্রতা কম। তবে অসাবধানতা এবং অচেতনতায় ধরনটি যেকোনো সময় শক্তিশালীও হয়ে উঠতে পারে। তাই সবাইকে যথেষ্ট সচেতন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।